৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়বে ঢাকা-চট্টগ্রামের ৫৬ ভাগ ভবন
নিউজ ডেস্ক : ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামের ভবনের ৫৬ ভাগই ধসে পড়বে। এই দুই শহরে ৫ লাখ ভবনের মধ্যে ৭০ ভাগ ভবন নির্মাণেই বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়নি। ফলে ভূমিকম্পে ঢাকার ৩০ ভাগ ভবন সম্পূর্ণরূপে ধসে যাবে। আর চট্টগ্রামে ৮০ ভাগ ভবন ধসে যাবে বলে জনানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছর ২০ ডিসেম্বর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে ‘আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট’ ও ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট’ এর আওতায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তারা ঢাকার ভবনগুলোর অবস্থা ও ভূমিকম্প দুর্যোগকালীন অবস্থায় করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে জাইকার প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতাইদা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের ভবন নির্মাণের নকশা প্রণয়নকারী স্থপতিদের ভূমিকম্প সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। তাদের পাঠ্যসূচিতে ভূমিকম্প সহনীয় বাড়ি নির্মাণ বিষয়ক কোর্স যুক্ত করা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে স্থপতিরা একটি ভবনের দু’টি নকশা প্রণয়ন করেন। একটি রাজউকে জমা দেন অনুমোদনের জন্য। অন্যটি ভবন নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়। এ কারণে ভবন নির্মাণের সময় বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয় না।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, মানবসৃষ্ট দুর্যোগে মৃত্যু আমরা দেখতে চাই না। ঢাকা শহরসহ দেশের কোন এলাকায় কি ধরনের ভবন হবে সে বিষয়ে সকল অঞ্চল ম্যাপিং করে যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করতে হবে।
আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম এম শফিউল্লাহ বলেন, ভবন নির্মাণে ঠিকাদারদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। রাজউক বিষয়টি তদারকি করতে পারে।
ডিএনসিসি মেয়র আনিসুল হক বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থেকে শুরু করে কর্মচারীদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর কোনো প্রশিক্ষণ নেই। আর এ সংক্রান্ত কোনো কমিটিতেও মেয়র বা কাউন্সিলরদের রাখা হয়নি।
০৪ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�