নিউজ ডেস্ক : শুধু বাংলাদেশিদের জন্য সাশ্রয়ী দামে মোটরসাইকেল বানাল হোন্ডা। এটি তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ দেশের মানুষের গড় উচ্চতা, রাস্তার অবস্থা, আর্থিক সামর্থ্য ও জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়টি। এরই মধ্যে মোটরসাইকেলটি বাজারজাতের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড। ড্রিম-১১০ ব্র্যান্ডের বাইকটি পাওয়া যাবে লাল, কালো ও নীল রঙে।
বাংলাদেশে স্থাপিত কারখানাতেই উৎপাদন করা হয়েছে এটি। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় হোন্ডার কারখানায় এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বলা হয় মানুষের আর্থিক সক্ষমতার কথা বিবেচনায় নিয়ে মোটরসাইকেলটির দাম ঠিক করা হয়েছে ৮৯ হাজার ৯০০ টাকা। অথচ ২০১৬ সালেও বাংলাদেশে এই মানের একটি মোটরসাইকেলের দাম ছিল প্রায় দেড় লাখ টাকা।
হোন্ডার বাংলাদেশে নিজস্ব কারখানা স্থাপন করে উৎপাদন করায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা কম দামে এটি বিক্রি করতে পারছে। বাইকটির আরেকটি বিশেষ দিক হলো এটি মাত্র এক লিটার তেল দিয়ে চলবে ৭৪ কিলোমিটার পথ। মোটরসাইকেলটি তৈরির আগে জাপান, ভারত ও বাংলাদেশ হোন্ডার গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ (আরঅ্যান্ডডি) জরিপ চালিয়ে এ দেশের বাইক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নানা তথ্য সংগ্রহ করে।
কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, তারা একটি বাইকে কী ধরনের সুবিধা চান, কত দামে চান, এক লিটার জ্বালানিতে কত দূর যেতে চান, এ দেশের রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে কতটা আরামদায়ক মোটরসাইকেল চান ইত্যাদি বিষয়ে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের চাহিদা জেনে সে অনুযায়ী নতুন বাইকটি তৈরি করা হয়েছে। নতুন মোটরসাইকেলটি তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাস্তার কথাটি বিশেষভাবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ কারণে এই মোটরসাইকেল দেশের সব ধরনের পথে চলাচলের উপযোগী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমিহিকো কাতসুকি বলেন, হোন্ডা সাশ্রয়ী মূল্যে সবচেয়ে ভালো মানের পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে সমাজের প্রতি অবদান রাখবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে আনন্দ ও যাতায়াতের স্বাধীনতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান নরেশ কুমার রতন, প্রধান উৎপাদন কর্মকর্তা শইচি সাতোহ ও অর্থায়ন বিভাগের প্রধান শাহ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।