সোমবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:২৯:০৮

সব অভিযোগ নিয়ে কাজ করলে সামনে এগোবো কীভাবে: ইসি সচিব

 সব অভিযোগ নিয়ে কাজ করলে সামনে এগোবো কীভাবে: ইসি সচিব

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, শুধু অভিযোগ দিলেই হবে না। পেছনের সব অভিযোগ নিয়ে কাজ করলে সামনে এগোবো কীভাবে। কেউ সন্তুষ্ট না হলে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। 

রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

নির্বাচনের প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে অডিট আপত্তি যাতে না আসে সেজন্য প্রশিক্ষণ নীতিমালা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, কমিশনের সভায় প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া তোলা হয়েছে। কমিশন তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আবারও সভায় উপস্থাপন করতে বলেছে। 

একাদশ জাতীয় সংসদ ও পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষণে ভাতা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে অডিট অধিদপ্তর। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে যেহেতু অডিট আপত্তি হয়েছে, তাই ইসি সচিবালয় থেকে একটি নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছি, যাতে ভবিষ্যতে আর অডিট আপত্তি না আসে। কমিশনের বক্তব্য, প্রশিক্ষণের পদ ও ভাতার হার নির্ধারণের বিষয়ে কমিশনই ক্ষমতাপ্রাপ্ত, তারা অনুমোদন দিতে পারেন। কিন্তু অডিট বিভাগ মনে করছে, কোন খাতে ব্যয় হবে তা কমিশন নির্ধারণ করতে পারেন। কিন্তু প্রশিক্ষণে ভাতার হার ও পদের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে। সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত পদ ও হার অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হলে আর আপত্তি আসবে না। সচিব বলেন, প্রথমে ইসি এটা মনে করলেও অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে তারা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলেছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদের বাইরে নীতিমালায় ‘বিশেষ বক্তা’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’সহ বিভিন্ন পদ রাখার বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মো. আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিশন সচিবালয়কে খসড়া প্রশিক্ষণ নীতিমালা পরীক্ষা করে দেখতে বলা হয়েছে। 

তিনি বলেন, নির্বাচনি প্রশিক্ষণে কী কী পদ থাকবে ও কী হারে সম্মানি দেয়া হবে-সেই প্রস্তাব চ‚ড়ান্ত করে আবারও কমিশন বৈঠকে তোলা হবে। কমিশন সভা সেটা চ‚ড়ান্ত করলে তা অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে আর অডিট আপত্তি না আসে।

দায়িত্বে থাকাবস্থায় নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) সাবেক মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সারা দেশ থেকে সম্মানি নেওয়ার যৌক্তিকতা বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, সেটা তো অডিট আপত্তিতে এসেছে। অডিট বিভাগ পরীক্ষা করে যেটা ফাইন্যান্সিয়াল রুল অনুযায়ী হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে অডিট আপত্তি দিয়েছে। সেগুলোর জবাব তৈরি করে দিয়েছি। 

তিনি বলেন, অডিট অধিদপ্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিয়মানুযায়ী পেলে অডিট নিষ্পত্তি করবে। আর যদি মনে করে ঠিকমতো হয়নি, নিয়মানুযায়ী হয়নি, তাহলে সরকারি কোষাগারে টাকা ফেরত দিতে বলবে। এটা অফিশিয়াল প্রক্রিয়া। যার বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি এসেছে, সেই জবাব দেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অডিট অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে যেসব নিয়মানুযায়ী প্রশিক্ষণ ভাতা নেওয়া হয়নি, সেসব ক্ষেত্রে আপত্তি দিয়েছে। এরপর জবাব দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলো তারা মেনে নিয়েছে। অন্যগুলোর আরও কিছু তথ্য চেয়েছে। ইটিআইর ডিজি জবাব দেবেন। জবাবে তারা সন্তুষ্ট হলে তা মেনে নেবে। আর যদি মনে করে আইন ও নিয়মানুযায়ী হয়নি, তখন ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলবে। এ প্রক্রিয়ায় অডিট নিষ্পত্তি হবে।

নির্বাচন কমিশনারদের প্রাধিকার সংক্রান্ত আইনের খসড়ার বিষয়ে ইসির সচিব বলেন, খসড়া আইনটি সংশোধনসাপেক্ষে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে কমিশনারদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা না-থাকাই ভালো। যেহেতু বিচারপতিদের গাড়িতে জাতীয় পাতাকা থাকে না, তাই কমিশনারদের গাড়িতে তা না থাকাই ভালো।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে