নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ আশা প্রকাশ করেছে যে, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা সমুন্নত রাখা হবে। আজ বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চি ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটকের পর দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আজ সকালে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজন জেনারেলকে নিয়োগ দেয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, 'নিকটতম ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী হিসেবে আমরা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চাই।' বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুসারী ও জোরদার করার সমর্থক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ঢাকা নাইপিদোর সাথে পারস্পরিক কল্যাণমূলক সম্পর্ক উন্নয়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছা, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'আমরা আশা করছি এসব প্রক্রিয়া সঠিক পথেই এগোবে।'
গণমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির সরকারের বিরুদ্ধে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আজ ক্ষমতা দখল করেছে। সু চিকে আজ সকালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্ট ও সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) অন্যান্য নেতার সাথে আটক করা হয়েছে।