বাংলাদেশি কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বললো পাকিস্তান
নিউজ ডেস্ক : জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঢাকা থেকে পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহারের জেরে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক যখন টালমাটাল অবস্থায় তখন ইসলামাবাদ থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে বললো পাকিস্তান।
দু’দেশের মধ্যে সম্প্রতি সম্পর্ক খারাপ হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দু জনের মৃত্যুদন্ড নিয়ে। পাকিস্তান এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে বাংলাদেশে তার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। গত সপ্তাহে পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে ইসলামাবাদ থেকে তাকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্রের খবর। তবে কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে কেন বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে, তা জানায়নি ইসলামাবাদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌসুমী রহমানকে সরকার ঢাকায় ফিরিয়ে আনছে না। তাকে পাকিস্তান থেকে পর্তুগালে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাকে লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হতে পারে।
কূটনৈতিক সূত্রের খবরানুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হোসেনকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মৌসুমী রহমানকে নিয়ে সোহরাব হোসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) মোহাম্মদ ফয়সালের সঙ্গে দেখা করতে যান।
এ সময় মোহাম্মদ ফয়সাল বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মৌসুমী রহমানকে ইসলামাবাদ থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। কিন্তু কেন মৌসুমী রহমানকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে, সে সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কর্মরত এক পাকিস্তানি দূতাবাস কর্মীর সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগোযোগ নিয়ে বাংলাদেশের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক আরও বাড়ে। সম্প্রতি ‘জামাতুল মুজাহাদিন বাংলাদেশ’ নামে সংগঠনের এক কর্মীকে আটক করা হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি ফারিনা আর্শাদের যোগাযোগ রয়েছে। এরপরই ফারিনাকে প্রত্যাহারের দাবি করে ঢাকা। দু’দিন পরই ফারিনাকে প্রত্যাহার করে ইসলামাবাদ। তবে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ফারিনার কোনও যোগাযোগের কথা তারা অস্বীকার করে। বছর খানেক আগে জঙ্গি–যোগের কারণে আরও এক দূতাবাসকর্মীকে বরখাস্ত করেছিল ঢাকা।
৬ জানুয়ারি/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি