নিউজ ডেস্ক : বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, সরকারের কে, কোথায়, কবে, কী দুর্নীতি করেছে, সব দলিলপত্র রাখা আছে। এটা যদি সিএস খতিয়ান, আরএস খতিয়ান হয়ে যায়। এসএ খতিয়ান ধরে ঘরে ঘরে ঢুকে বিচার করা হবে ইনশাল্লাহ।
সোমবার (১৫ ফেব্রয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বাতিলে সরকারের উদ্যোগের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই- এই মাফিয়া চক্র, এদের তালিকা আমাদের কাছে আছে। পুলিশের কোন সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কোথায় রিসোর্ট আছে, কোথায় আমোদ-প্রমোদ করে। কোথায় বসে কুকীর্তি করে। সবকিছুর ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে। কোন সরকারি কর্মকর্তা, কোন সচিব কোথায় বসে সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে রঙ্গলীলা করে সব ভিডিও আমাদের কাছে আছে।’
তিনি বলেন, ‘যার যেটা নেই, সে নাকি সেটাই হতে চায়। আওয়ামী লীগের চৌদ্দগোষ্ঠীর মধ্যে হাজার পাওয়ারের লাইট জ্বালিয়েও একজন বীর প্রতীক খুঁজে পাওয়া যাবে না। বীর উত্তম তো অনেক দূরের কথা। এখন নেই বলেই জিয়াউর রহমানকে খাটো করবেন? জনগণ তা মেনে নেবে না।’
আলাল আরও বলেন, ‘আমার আগের বক্তা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন- আন্দোলনটা একটু জোরেশোরে করলে এরা (আওয়ামী লীগ) পালিয়ে যাবে। এই কথার পরে আমি একটু চিন্তায় পড়ে গেছি। তারা পালিয়ে যাবে কোথায়? বিজেপি নেতা অমিত সাহা পশ্চিমবঙ্গ এসে বলে গেছেন- পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে বাংলাদেশ থেকে একটি পাখিও নাকি ঢুকতে পারবে না। তো পাখিরা যদি না ঢুকতে পারে। তাহলে এই মাসিরা পিসির বাড়িতে যাবে কিভাবে? এই মাসিদের পিসির বাড়ি যাওয়া যখন বন্ধ হবে, তখন জনগণ এদেরকে ঘেরাও করবে। আর সেই ঘেরাওয়ের নেতৃত্ব দিতে হবে বিএনপিকে। এর বাইরে আর কোনো পথ নেই।’