নিউজ ডেস্ক: বোরো জমিতে এমন ক্ষতি হয়েছে খবর শুনে বুধবার নিজ জমিতে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বললেন মদন উপজেলার সাইতপুর গ্রামের ফুলচান মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার, হাতিমের স্ত্রী শিখা আক্তার এবং আলাল উদ্দিনের স্ত্রী জুবেদা আক্তার।
গত কয়েক দিন আগেও যেখানে ছিল ঘন সবুজের সমারোহ, এখন সেখানে সাদা ধূসর রঙের আভা। এক রাতের তপ্ত হাওয়া যেন হাওরের চিরচেনা রূপটিই বদলে দিয়েছে। চুরমার করে ভেঙে দিয়েছে মদন উপজেলার হাজারও কৃষকের স্বপ্ন। শুকিয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে রাশি রাশি ধান। আর এ কারণে কান্নার রোল পড়ে গেছে হাওরপাড়ের প্রতিটি কৃষক পরিবারে।
মঙ্গলবার ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি প্রতিনিধিদল মদন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চল পরিদর্শন করে ক্ষতির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করেছেন।
দলটির প্রধান ‘ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’-এর প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ নাজমুল বারী হাওর পরিদর্শন শেষে বলেছেন, এটি এক ধরনের হিট শক। যেসব জমির ধান সবেমাত্র বের হচ্ছিল (ফ্লাওয়ারিং স্টেজ) অথবা ধানে চাল গজাচ্ছিল (মিল্কিং স্টেজ)- সেসব জমিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত রোববার রাতে বয়ে যাওয়া তপ্ত বাতাসের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।