বুধবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ১০:০৬:৪৭

স্যার আমার হুঁশ ছিল না, জোসের কারণে বলে ফেলেছি: রফিকুল ইসলাম মাদানী

স্যার আমার হুঁশ ছিল না, জোসের কারণে বলে ফেলেছি: রফিকুল ইসলাম মাদানী

সাখাওয়াত কাওসার: রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক কথাবার্তা এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে ইসলামি বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছে র‌্যাব। 

আজ বুধবার ভোরে নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। 

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অন্যদিকে, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। 
এর আগে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করেছিল পুলিশ। তবে কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সম্প্রতি রফিকুল ইসলাম তার এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি মানি, যদি সে ইসলাম মানে। প্রধানমন্ত্রী মানি, যদি সে ইসলাম মানে। এই কচুর প্রধানমন্ত্রী মানি না যদি সে ইসলামের বিরুদ্ধে যায়।’’ এখনো ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই বক্তব্যসহ আরও অনেক উস্কানিমূলক বক্তব্য সরকারের ভিতরে এবং বাইরে নানা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

সূত্র মতে, র‌্যাবের হাতে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই রফিকুল জানিয়েছেন, ‘স্যার আমার হুঁশ ছিল না। জোসের কারণে বলে ফেলেছি। বেহুঁশে থাকলে অনেকে তো অনেক কিছুই বলে ফেলে।’ তবে দফায় দফায় রফিকুল ইসলামের আকুতি ছিল, ভবিষ্যতে তিনি আর এমনটা করবেন না। তার বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর পুলিশের গাছা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। একইসঙ্গে মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করবে র‌্যাব।  

দুই বছর আগেই বিয়ে করেছেন রফিকুল: 
গত মঙ্গলবার তিনি ময়মনসিংহ হালুয়াঘাটের ফুলপুরের রহিমগঞ্জে কনে দেখতে গিয়েছিলেন রফিকুল। কনের নাম আসমা আক্তার। তবে পাত্রীর বাবা-মা’র পছন্দ হয়নি রফিকুলকে। তবে পিলে চমকে উঠা তথ্য হলো, মাওলানা রফিকুল গত ২০১৯ সালের শেষের দিকে হালুয়াঘাটের সেই পাত্রী আসমা আক্তারকেই গোপনে বিয়ে করে ফেলেছেন। আসমা আক্তার তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন আক্তারের চাচাতো বোন। ওই গোপন বিয়ের অন্যতম একজন স্বাক্ষী ছিলেন পারভীন। রফিকুল এবং আসমার ওই বিয়েরও কোন রেজিষ্ট্রি হয়নি। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের জন্য আসমাকে দেখতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসার পর ফেসবুক মেসেঞ্জারে আসমাকে তিনি লিখেছেন, ‘প্রয়োজনে ১০ বছর অপেক্ষা করবেন। তবুও তিনি তাকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবেন।’ 

জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম মাদানীরা পাঁচ ভাই। রফিকুল সবার ছোট। তার বাবা মৃত শাহাবুদ্দিন। মাদানী নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকায় চলে আসেন। সেখানে লেখাপড়া করার সময় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত হন।-বাংলাদেশ প্রতিদিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে