নিউজ ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তারে কোনো বেগ পেতে হতে হয়নি পুলিশ সদস্যদের। এসময় তিনি শান্ত-স্বাভাবিক ছিলেন। রোববার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘ নজরদারি শেষে মামুনুলকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্তের পর শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত থেকেই ওই মাদ্রাসার আশপাশে পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন অবস্থান নেন। সকালের দিকে মাদ্রাসা এলাকায় বাড়ানো হয় পুলিশ সদস্যের সংখ্যাও। প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মামুনুলকে গ্রেপ্তারে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন-অর-রশীদসহ কয়েকজন মাদ্রাসার ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে মামুনুল হককে বলা হয়, ‘আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে’। পরে মামুনুল হক স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
তবে এসময় মামুনুলের হাতে হাতকড়া পরানো হয়নি। তার সঙ্গে মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষককে হেঁটে আসতে দেখা যায়। এসময় মামুনুল স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এগিয়ে যান। মাদ্রাসা থেকে বের হওয়ার পর একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ডিসি হারুনের কার্যালয়ে।
বের হওয়া ও গাড়িতে তোলার সময় হেফাজত কিংবা মাদ্রাসার কেউই মামুনুলের গ্রেপ্তারে বাধা দেয়নি। তবে মামুনুলকে গাড়িতে তোলার পর কয়েকজন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে ডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন বলেন, মামুনুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয়েছে। এসময় আমরা কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।
এদিকে, মামুনুলের গ্রেপ্তারের পর মোহাম্মদপুর মাদ্রাসার সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।