সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ০২:২০:২১

৩০টি কবর আগে থেকেই খুঁড়ে রাখা

৩০টি কবর আগে থেকেই খুঁড়ে রাখা

সাদ্দিফ অভি: রাজধানীর রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের পেছনে দেশের সবচেয়ে বড় কবরস্থান নির্মাণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। মূল প্রবেশদ্বার দিয়ে ভেতরে কিছুদূর গেলেই দেখা যাবে সারি সারি কবর। এর মধ্যে ৮ নম্বর ব্লকটি একটু আলাদা। সেখানে দাফন করা হচ্ছে কেবল করোনায় মৃত ব্যক্তিদের।

সাড়ে ৮৫ হাজার কবর দেওয়ার জায়গা রয়েছে এখানে। করোনায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান হঠাৎ বদলে যাওয়ায় চাপটা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। শুধু এপ্রিলেই করোনায় মৃত ১২৭ জনের দাফন হয়েছে এখানে। এ পর্যন্ত দাফন হয়েছেন ১১ শ’রও বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশন এবং কবরস্থান সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে থাকা রায়েরবাজার কবরস্থানটির আয়তন ৯৬ একর। মূল কবরস্থান ৮১ দশমিক ৩০ একরের। এখানে কবর দিতে মৃতের স্বজনদের কোনও ফি দিতে হয় না। শুধু কবর খোঁড়ার খরচ ও গোরখোদকদের বকশিশ দিলেই হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কবর খুঁড়ছেন গোরখোদকরা। এ কবর করোনায় মৃত ব্যক্তিদের জন্য কিনা জানতে চাইলে তারা ৮ নম্বর ব্লকের দিকে ইশারা করে দেখান। ৮ নম্বর ব্লকে গিয়ে দেখা গেল সেখানে অন্তত ৩০টি কবর আগে থেকেই খুঁড়ে রাখা হয়েছে।

গোরখোদকরা জানান, তারা সচরাচর রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করেন। তবে এখন আগের চেয়ে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাদের। তারা আরও জানান, এই কবরস্থানে যে ২৮ জন গোরখোদক রয়েছেন, তাঁরা প্রতিদিন দুই শিফটে দায়িত্ব পালন করেন। একদল কাজ করেন সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। আরেক দল বেলা ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। তবে লাশ এলে মধ্যরাতেও দাফনের কাজ চলে। এমনিতে ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে কবরস্থান।

রায়েরবাজার কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার আবদুল আজিজ বলেন, প্রতিদিনই করোনায় মৃত লাশ আসছে। কয়েকদিন আগেও দিনে ৮-১০টি করে লাশ এসেছিল। গত দুই দিন হলো কিছুটা কম আসছে। তবে এই মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি এসেছে। যার কারণে কিছু কবর আগেই খুঁড়ে রাখা হয়েছে।-বাংলা ট্রিবিউন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে