নিউজ ডেস্ক: লাগাম ধরেছে পিঁয়াজের দামে। ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রায় সব স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে হিলি ও চাঁপাই স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ বা অন্য কোনো পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশ করছে না। এ অবস্থায় বেনাপোলসহ আরো কয়েকটি স্থলবন্দর দিয়ে পিঁয়াজ আনা যাবে- সরকারের এমন একটি সিদ্ধান্তের কারণে পিঁয়াজের বাজার পড়তে শুরু করেছে।
আজকের বাজারে দেশি এবং মিয়ানমারের পিঁয়াজ পর্যাপ্ত থাকলেও পাইকারিতে দাম চল্লিশোর্ধ। এ অবস্থায় ভারতীয় পিঁয়াজ ঢুকলে পাইকারি-খুচরা উভয় ক্ষেত্রে নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম আরো কমে আসবে বলে মনে করছেন দেশের অন্যতম পাইকারি বজার খাতুনগঞ্জের আড়তদার ও ব্যবাসায়ীরা
এদিকে খাতুনগঞ্জের পুরনো আড়তদার মাতৃভান্ডারের স্বত্বাধিকারী রিতাপ উদ্দিন বাবু বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে ভারত থেকে পিঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়ার ঘোষণায় বাজারে হঠাৎ করেই পিঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার পাইকারি বাজারে দেশি ও মিয়ানমারের পিঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা।
কিন্তু বুধবার কমে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় নেমে এসেছে একই পিঁয়াজ। তবে ভারতীয় সীমান্তের স্থলবন্দরের কোনো গুদামে এখন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদেও আমদানি করা কোনো পিঁয়াজ নেই। যা ছিল গত এক মাসের লকডাউনে শেষ হয়ে গেছে। ফলে দ্রুত আবারও আমদানি প্রক্রিয়া শুরু না হলে পিঁয়াজের দাম আরো চড়া হতে পারে।