মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই, ২০২১, ০৩:২১:২১

প্রবাসী এক বাংলাদেশির লাগেজ থেকে গায়েব দুটি আইফোন, নাটকীয়ভাবে উদ্ধার ( ভিডিও )

প্রবাসী এক বাংলাদেশির লাগেজ থেকে গায়েব দুটি আইফোন, নাটকীয়ভাবে উদ্ধার ( ভিডিও )

প্রবাসী এক বাংলাদেশি এসেছেন ঢাকায়। লাগেজে ছিল দুটি আইফোন। বাড়ি ফেরার পর লাগেজ খু'লে দেখা গেল আইফোন দুটি নেই। পরে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ছু'টে আসেন মাহবুব। আর্ম'ড ফো'র্স পুলিশ ব্যাটা'লিয়নের কর্তাদের খু'লে বলেন ঘ'টনা। ঘটনা শুনে আর্ম'ড ফো'র্স পুলিশ পু'রো বিমানবন্দর ত'ন্ন ত'ন্ন করতে খোঁ'জেন, মানে সিসিটিভি ফুটে'জে পু'রো চু'লচে'রা বিশ্লে'ষণ করে দেখলেন বিমানবন্দর থেকে আইফোন দুটি চু'রি যায়নি। তাহলে কোত্থেকে চু'রি হলো? 

এবার আর্ম'ড ফো'র্স পুলিশ শুরু করলো অভি'যান। ঘটনা শুরু থেকে মাহবুব বলছিলেন, যেটার পুরো ভিডি'ওচিত্র ধা'রণ করে প্রকা'শ করে অ্যাভিয়েশন বাংলা। মাহবুব বলেন, তিনি দুটি আইফোন নিয়ে ফিরছিলেন দুবাই থেকে। এজন্য কাস্টমসে বলা হয় দুটো ফোনের বাইরে ফোন বহন করলে সেটার শুল্ক দিতে হয়।   ঢাকায় বিমানবন্দরে  ফোন দুটির জন্য কাস্টমসের কাছে শুল্কও দিয়েছিলেন তিনি। এরপরে তার এক বন্ধু কাস্টমসে আরেকটা জিনিসের জন্য শুল্ক দিতে পয়ারছিলেন, মাহবুবকে ডাকেন। অন্যদিকে বিমানবন্দরে মাহবুবের বাবা অপেক্ষা করছিলেন। তাই তার বাবার কাছে লাগেজ দিয়ে তাকে একটা সিএনজিতে পাঠিয়ে দেন বাড়িতে। 

মাহবুব এবার বন্ধুর শুল্কের যে বিষয় ছিল, সেটা টাকা দিয়ে সম্পন্ন করেন। ততক্ষণে মধ্যরাত পে'রিয়ে গেছে। এরপরে বাসায় আসেন মাহবুব। বাসায় এসে দেখেন তার লাগেজে আইফোন দুটি নেই। বি'স্মি'ত মাহবুব। বিমানবন্দরে ছু'টে আসেন আর্ম'ড ফো'র্স পুলিশের কাছে। আর্ম'ড ফো'র্স পুলিশ বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফু'টেজ ঘেঁ'টে দেখে ফোন দুটি বিমানবন্দর থেকে চু'রি হয়নি। 

আর্মড ফোর্স পুলিশ অভি'যান শুরু করে। মাহবুবের বাবাকে নিয়ে লাগেজ বহনকারী সিএনজিকে সন্দে'হর তা'লিকায় নেয়। কিন্তু মাহবুবের বাবা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, সিএনজিওয়ালা নেয়নি। অর্থাৎ সিএনজি চালক কোনোভাবেই নাকি ওই দুটো আইফোন সরা'য়নি। কিন্তু আ'র্ম পুলিশ তবুও নিজেদের মতো কাজ শুরু করে। 

সিসিটিভি ফুটে'জ দেখে ওই সিএনজির রেজিস্ট্রেশন নম্বর উদ্ধা'র করে আর্ম'ড ফো'র্স পুলিশ। এরপর সিএনজির মালিককে খুঁ'জে বের করা হয়, তারপরে চালক। ততক্ষণে মাহবুবের বাবা একটা ত'থ্য দেন যে সিএনজি বাসার এক কিলোমিটার আগেই তাদের নামিয়ে দিয়েছিল। গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বলে রিকশায় লাগেজসহ মাহবুবের বাবাকে তু'লে দেওয়া হয়।

সিএনজি চালককে মগবাজার এলাকা থেকে আ'টক করলে সে সাথে দুটো আইফোন স'রা'নোর কথা স্বী'কার করে। পরে আইফোন দুটো উ'দ্ধা'র করা হয়। পরে ফোন দুটি পেয়ে মাহবুব সিএনজি চালককে মাফ করে দেন। যদিও মাফ করাটা আদতে ঠিক হয়েছে কি না নেটিজেনরা প্রশ্ন তু'লেছেন। 

আর ওই সিএনজির কি আসলেই গ্যাস শেষ হয়ে গিয়েছিল নাকি এটা একটা নতুন পদ্ধ'তি? পুরো ভিডিওটি দেখলে আরো স্পষ্ট বোঝা যাবে শ্বা'সরু'দ্ধকর ঘ'টনাটি। ( ভিডিও )

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে