কুড়িগ্রাম থেকে : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে না পেরে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রিপন মিয়া (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
এ সময় বাধা দেওয়ায় গৃহবধূর শ্বশুরকেও কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ওই যুবক। পরে স্থানীয়রা আহত গৃহবধূ ও তার শ্বশুরকে দ্রুত রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
রবিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা তেলির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ রিনা খাতুন (২১) ও তার শ্বশুর আব্দুল মজিদ (৫০) এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিল।
যাওয়ার পথে দাঁতভাঙ্গা তেলির মোড় পৌঁছানো মাত্রই ওৎ পেতে থাকা রিপন ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে গৃহবধূকে। এ সময় সঙ্গে থাকা শ্বশুর আব্দুল মজিদ বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। এ অবস্থায় স্থানীয় মানুষজন এগিয়ে আসলে রিপন পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, আহত ওই গৃহবধূ টাপুরচর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করার সময়ে রিপন নানা ভাবে উত্যক্ত করত। তার অত্যাচারে বাধ্য হয়ে রিনা খাতুনকে বিয়ে দেয় তার বাবা-মা।
এ বিষয়ে রিনার বাবা উপজেলার শান্তিরচর গ্রামের বাছের আলী অভিযোগ করেন, বখাটের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে গত বছর ৪ ফেব্রয়ারি মেয়েকে একই উপজেলার টাপুরচর গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র হারেজ আলীর (২৪) সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ে দেওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই রিপন। বিয়ের সাত দিনের মাথায় রিপন তার সঙ্গীদের নিয়ে রাতের অন্ধকারে রিনার শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালায় এবং গৃহবধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
তারা রিনার স্বামী হারেজ আলীকেও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় রিপন। জেল থেকে কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়ে আসার পর আবার পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়।
অভিযুক্ত রিপনের পিতা টাপুরচর গ্রামের বাসিন্দা নুরু মিয়া বলেন, আমার ছেলে মেয়েটিকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা অন্যত্র বিয়ে দিয়ে অন্যায় করেছে। আর এ কারণে আমার ছেলে একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাছাড়া ছেলে এখন আমার কথা শোনে না।
এ প্রসঙ্গে নির্যাতিত গৃহবধূর শ্বশুর আব্দুল মজিদ অভিযোগ করে বলেন, ওই বখাটে আমার বউ মা’কে এবং আমার ছেলেকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এখন খুবই ভয়ে আছি।
এ ব্যাপারে রিপনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আগের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু হানিফ জানান, দেড় মাস আগে ওই মামলার চার্জশিট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন যদি আবার ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তাহলে আবার মামলা হবে। ওসি এবিএম সাজেদুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনেছি। নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ চাওয়া হয়েছে। বিডি প্রতিদিন
১১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি