পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সোমবার সকাল থেকে আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ৪নং ফেরিঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজীরপাড়া জামে মসজিদ ও সংলগ্ন ৫টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফজরের নামাজ আদায়ের পর মসজিদটি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।
ভাঙন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে আরও ২০টি পরিবার। হুমকিতে রয়েছে ৪টি ফেরিঘাট, ঘাটের সংযোগ সড়ক, ২ শতাধিক পরিবারসহ বহু স্থাপনা।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ভাঙন শুরু হয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভাঙন এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায় অসহায় মানুষের আর্তনাদ। তারা ভাঙনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেন।
এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করতে শুরু করেছে। সিদ্দিক কাজীরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ জুবায়ের হোসেন বলেন, সোমবার ভোরেও আমরা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেছি। সকাল ৮টার দিকে খবর পাই মসজিদের পাশে ভাঙতে শুরু করেছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখের সামনের দেখলাম মসজিদের একাংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেল। এ সময় এলাকার ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ হোসেন বলেন, ভাঙনে সিদ্দিক কাজীরপাড়ার সিদ্দিক কাজী, হান্নান কাজী, মান্নান কাজী, আরশাদ আলী ও বাচ্চু খানের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তারা তাদের ঘরবাড়ি গুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়।