রাজধানীর প্রগতি সরণিতে শিশু মরিয়মের মৃত্যুর ঘটনায় রাইদা পরিবহণের গাড়িচালক মো রাজু ও তার সহকারী ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বাহিনীটি জানিয়েছে, ১০ বছর বয়সী মরিয়ম চল'ন্ত বাস থেকে ছি'টকে পড়ে গেলেও হা'মলা, ভা'ঙচু'রের ভ'য়ে চালক দ্রুত বাস চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে তারা জানতে পারেন, শিশুটি মা'রা গেছে। এরপর গ্রেফতার এড়াতে তখন গাড়িচালক ও তার সহকারী আ'ত্মগো'পনে চলে যান।
গত মঙ্গলবার সকালে যমুনা ফিউচার পার্কের উল্টোপাশে মরিয়মের ম'রদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মো. রাজু ওইদিনই ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, রাইদা পরিবহনটিতে ওই সময় গেট লক সার্ভিস চালু ছিল। মেয়ে শিশুটি ওই বাসে ভিক্ষা করতে উঠেছিল। একই সময় বাস চালকের সহকারী ইমরান যাত্রীদের থেকে ভাড়া তুলছিলেন। ইমরান শিশুটিকে বাস থেকে নেমে যেতে বলেন এবং গাড়ি চালককে গতি কমাতে অনুরোধ করেন। এর কিছুক্ষণ আগেই বাসটিকে একবার গতি কমাতে হয়। তাই চালক বিরক্তি প্র'কাশ করেন। মেয়ে শিশুটিও তাড়াহুড়ো করে নামতে যায়। এতেই আহ'ত হয় সে।
র্যাব জানায়, বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা মেয়েটিকে পড়ে যেতে দেখে বাস থামাতে বলে। কিন্তু পেছনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস থাকায় হা'মলা ও ভা'ঙচু'রের ভ'য়ে চালক দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে যায়। রাইদা পরিবহন পোস্তগোলা থেকে দিয়াবাড়িতে যায়। ওই দিনও মেয়ে শিশুটিকে রাস্তায় ফে'লে চালক বাস দিয়াবাড়িতে নিয়ে যান। ফেরার পথে জানতে পারেন শিশুটি মা'রা গেছে।