নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরব আবারো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. নিজার বিন ওবায়েদ মাদানি। সোমবার দুপুরে জেদ্দায় সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে আগামী হজ মৌসুমের পরই এ কার্যক্রম শুরু হবে এ আশ্বাস দেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক দেওয়ান আলী আশরাফ বলেন, দীর্ঘ দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্কসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
এসময় সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. নিজার বিন ওবায়েদ মাদানী বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতি ওআইসির অন্য সদস্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় বলেও মন্তব্য করেন।
বৈঠকে ২০১৪ সালে সৌদি বাদশার সাধারণ ক্ষমার জন্য সে দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান শাহরিয়ার আলম। একইসঙ্গে সৌদি আরবের চলতি এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে আরও বেশি দক্ষ, আধা দক্ষ ও অদক্ষ বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানির অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা চালু করার অনুরোধও জানান তিনি।
সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে আশ্বস্ত করে বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি সরকার নারী শ্রমিক আনা শুরু করেছে এবং কিছু দিনের মধ্যে অন্য সব খাতে বাংলাদেশি জনশক্তি আমদানি করা হবে। এছাড়া, আগামী হজ মওসুমের পর বাংলাদেশিদের ওমরাহ ভিসা দেয়া হবে।
শাহরিয়ার আলম দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও বেশি শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ থেকে সহনীয় মূল্যে ওষুধ, তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, প্লাস্টিক এবং সিরামিক পণ্য আমদানির জন্য সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল করিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মধ্য-পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক) মো. নাজমুল ইসলাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক দেওয়ান আলী আশরাফ, জেদ্দা কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম) মোকাম্মেল হোসেন, দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মোশাররফ হোসেনসহ দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।