আবরারকে যে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, ঘটনার দুই বছর পরও মা রোকেয়া খাতুন সেই স্মৃতি ভুলতে পারেননি। ছেলে হারানোর পর থেকে কান্নাই যেন এখনও তার নিত্যসঙ্গী। আবরারের লাশ দাফনের দিন ছেলের মুখটি শেষবার দেখার জন্যে সেই যে ঘরের বাইরে এসেছিলেন, এরপর থেকে তিনি আর ঘরের বাইরে যাননি। ঘরেই বসে থাকেন সবসময়। শুধু নামাজ কালাম আর আবরারের স্মৃতি নিয়েই সময় কাটছে মমতাময়ী মায়ের।
কুষ্টিয়া শহরের বাড়িতে আবরারের মা রোকেয়া খাতুনের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, যে যাবার সে তো তার সহপাঠীদের নির্মম নির্যাতনে পৃথিবী থেকে চলে গেছে। কিন্তু কী কারণে চলে গেলো! কাদের কারণে চলে যেতে হলো? যাদের নির্যাতনে আমার ছেলে চলে গেলো, তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। আমরা সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাই। আদালতের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা আশা করি এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সকলের কাছে একটা বার্তা যাবে। যাতে করে আর ভবিষ্যতে কেউ কোনো মায়ের বুক খালি করার চেষ্টা না করে।