ঢাকা : আগামী ৯ আগস্ট এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের দিন ধার্য করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলাফল প্রস্তুত হয়ে গেছে, এখন শুধু শেষ পর্যায়ের যাচাইবাছাই চলছে। এমন তথ্যই জানা গেছে শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে।
এদিকে অন্যান্য বছরের মতো এবার এইচএসসির ফলে সেরা ২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা হচ্ছে না। আন্তশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবার ফল প্রকাশের পর সবারই আগ্রহ থাকে কোন প্রতিষ্ঠান প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় হয়েছে।
আর পরের বছর ভর্তির ক্ষেত্রেও অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা এসব কলেজকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
শনিবার আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী এসএসসির ফল প্রকাশের দিন বলেছিলেন, এখন থেকে আর সেরা ২০ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হবে না।
তখন থেকে আর সেরাদের তালিকা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এর মধ্যে নতুন করে সেরাদের তালিকা করার নির্দেশনাও মন্ত্রণালয় দেয়নি। তাই এবারের এইচএসসির ফলে আমরা সেরাদের তালিকা করছি না।’
জানা যায়, ২০১০ সাল থেকে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর শতকরা হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ সেরা তালিকা করা হতো।
এর আগে শতভাগ পাস এবং সর্বাধিক জিপিএর ভিত্তিতে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হতো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, অনেক প্রতিষ্ঠানের টার্গেট থাকে সেরা তালিকায় ঢোকা। তাই তারা বোর্ডকে ম্যানেজ করে সুবিধামতো জায়গায় কেন্দ্র ফেলে।
এরপর কেন্দ্রের শিক্ষকদের সঙ্গে আঁতাত করে আগেই প্রশ্ন নিয়ে নেয় এবং তাদের শিক্ষার্থীদের বলে দেয়। এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩০ মে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ভালো একটা উদ্দেশ্য নিয়ে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করার বিষয়টি আমরা চালু করেছিলাম।
আমরা মনে করেছিলাম এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে।
এখন দেখা যাচ্ছে, এই প্রতিযোগিতায় কে উপরে থাকবে সে জন্য একটি অস্বাভাবিক পথ কিংবা অনৈতিক পথ গ্রহণ করার চেষ্টা কেউ কেউ করছে।
তবে যারা সত্যিকারভাবে ভালো করার চেষ্টা করছে তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা হয়তো অন্য কোনোভাবে তাদের স্বীকৃতি দেব।’