বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের হাসপাতালে গেলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পায় না। হাসপাতালে যাবেন দেখবেন, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মতো মানুষকে যদি বিদেশে না পাঠানো হয় ও আমরা যদি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে এই দেশের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে, বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজ এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছে। জেগে উঠবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত। পদ্মা-মেঘনা-যমুনার অববাহিকায় উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে এবং তক্ততাল ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। মির্জা ফখরুল বলেন, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সরকার তিলে তিলে সচেতনভাবে বেগম জিয়াকে হত্যা করছে। আমরা চাই দেশনেত্রীকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসার সুযোগ করে দেন। এটা ন্যূনতম দাবি। এটা কোনো দয়া নয়, মহানুভবতা নয় কিংবা মানবিক ব্যাপার নয়। এটা নাগরিক হিসেবে অধিকার। আপনারা বলবেন, উনি তো সাজাপ্রাপ্ত নাগরিক। সাজাপ্রাপ্ত নাগরিকও তো চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রাখেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে সহ্য করতে পারে না। তাই দেশনেত্রীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাজা ভোগ করাচ্ছে। এরা ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না বলেই বেগম জিয়াকে তিলে তিলে সচেতনভাবে হত্যা করছে। তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং এই রক্তক্ষরণ যদি বেশিদিন চলে তাহলে তিনি বাঁচবেন না। তার যে রোগ হয়েছে লিভার সিরোসিস, এটা খুবই মারাত্মক রোগ। এই রোগের চিকিৎসা দেশে নেই। আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও জার্মানি ছাড়া এই রোগ ভালো হয় না। দেশকে যিনি সংসদীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যিনি লড়াই করেছেন তার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য আমরা লড়াই করছি।