বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ'-এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছ কক্সবাজারে। জেলার সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানি ফুলে কিছুটা উত্তাল থাকলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা তা উপেক্ষা করে সমুদ্রস্নান ও ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে কক্সবাজার থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। বর্তমানে এটি কক্সবাজার থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে।