রবিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ০১:২২:১০

বাঙালির আবেগ নিয়ে খেলে বিএনপি: সজীব ওয়াজেদ জয়

 বাঙালির আবেগ নিয়ে খেলে বিএনপি: সজীব ওয়াজেদ জয়

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির আবেগের জায়গা, আর বিএনপি সেটা নিয়েই খেলে। তাদের এই লুকোচুরি খেলার ছ'দ্মবেশ উন্মো'চিত হয়ে পড়লে, তারা প্রকৃত অর্থেই পথে বসে যাবে। তাই যেকোনো মূল্যে, ইতিহাস বিকৃ'ত করে, মুক্তিযুদ্ধকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছে তারা।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিশদ স্ট্যাটাসে  তিনি লিখেছেন—

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী চলছে। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি। দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে সরকার। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকেও পালন করা হচ্ছে নানাবিধ অনুষ্ঠান।

৭ মার্চের বেশ কয়েকদিন আগে, এই দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তখন দেশের মানুষ মুক্তকণ্ঠে তাদের প্রশংসা করতে শুরু করে। কিন্তু ৭ মার্চ বিএনপির অনুষ্ঠানে দেখা যায়, সেখানে বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার নায়ক ও খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে দেশের সেরা মানুষ হিসেবে দাবি করে। অনুষ্ঠানটি ৭ মার্চ ও মুক্তুযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আয়োজন করার ঘোষণা দিলেও, বাস্তবে তারা স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃ'ত করে উপস্থাপন করেছে। মূলত, একই পদ্ধতিতে এর আগেও অজস্রবার বিএনপি এই কাজ কাজ করেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে ঢা'ল হিসেবে ব্যবহার করে, জিয়াউর রহমান যেমন উ'গ্রবা'দ প্রতিষ্ঠা করেছে; খালেদা জিয়াও তেমনি মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী পরিচয় ব্যবহার করে দেশকে দুর্নী'তিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে এবং দেশকে তু'লে দিয়েছে ১৯৭১-এর খু'নি ও ধ'র্ষ'ক জামায়াতের নেতাকর্মীদের হাতে।

জিয়াউর রহমানের ছেলে ও বিএনপির ডি ফ্যাক্টো প্রধান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মির্জা ফখরুলরা আজ যেভাবে সাধারণ মানুষের মুক্তিযুদ্ধের আবেগ নিয়ে খেলা করছে, ঠিক একইভাবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই কাজ করে আসছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের শক্তি দাবি করে, সরলপ্রাণ মানুষদের আবেগের সঙ্গে প্র'তা'রণার করে, নিয়মিত মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী কাজের নেতৃত্ব দিয়েছে এই বিএনপি। এমনকি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিষয়ে এতোদিন চুপ থাকলেও, হঠাৎ করেই মাঠে নেমেছে তারা। কারণ, তাদের রাজনীতির অস্তিত্বই টিকে আছে এই কপটতার ওপর। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির আবেগের জায়গা, আর বিএনপি সেটা নিয়েই খেলে। তাদের এই লু'কোচু'রি খেলার ছ'দ্মবে'শ উ'ন্মো'চিত হয়ে পড়লে, তারা প্রকৃত অর্থেই পথে বসে যাবে। তাই যেকোনো মূল্যে, ইতিহাস বিকৃ'ত করে, মুক্তিযুদ্ধকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে আসছে তারা।

ত্রিশ লাখ মানুষের প্রাণ ও প্রায় চার লাখ নারীর স'ম্ভ্র'মের বিনিময়ে অর্জিত এই মহান স্বাধীনতাকে নিয়ে যারা এহেন নিচুক'র্মে লি'প্ত, তারা নৈতিক বিচারে অপরা'ধী। তাদের এই অপরাধ অমা'র্জনীয়। দেশবিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ন'স্যাৎ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চা'লানোর দায়ে, বিএনপির নেতাকর্মীদের দ'ণ্ড প্রাপ্য। তারা এদেশকে ধ্বং'স করার জন্য যা করেছে, গালভরা বুলি দিয়ে তা ভু'লিয়ে দেওয়া যাবে না। খুব ছোট পরিসরে হলেও, আসুন একবার চোখ বুলিয়ে দেখি- বিএনপি গংদের অপরাজনীতির ফিরিস্তি।

১৯৭১-এর রাজাকার-খু'নি-ধ'র্ষ'কদের সা'জা মাফ: ত্রিশ লাখ মানুষের র'ক্তের সাগরের ওপর ১৯৭১ সালে যে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, সেই মুক্ত দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করেছে স্বৈ'রা'চার জিয়াউর রহমান। এজন্য শুরুতেই সে গ'ণহ'ত্যা ও ধ'র্ষ'ণের মা'স্টারমাই'ন্ড রাজাকারদের বিচারপ্রক্রিয়া ন'ষ্ট করে দেয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে দালাল আইন করে, ৭৩টি ট্রাই'ব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে, এই ব'র্ব'র অমা'নুষদের বিচারের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর, জিয়াউর রহমান নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের চেত'নাবিরোধী চ'ক্র এক আদেশে সেই দা'লাল আইন বাতিল করে। এবং কমপক্ষে ১১ হাজার সা'জাপ্রাপ্ত যু'দ্ধাপ'রাধীকে কা'রাগার থেকে মু'ক্তি দেয়। এরপর, ১৯৭৬ সালের ১৮ জানুয়ারি, পাকিস্তানি থাকা বাংলাদেশ-বিরোধীদের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলে । ফলে, প'লা'তক রাজাকাররাও বীরদ'র্পে ঢু'কতে থাকে দেশে।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দেশ গড়ার জন্য একটা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটি নিয়ে কু'চ'ক্রীরা বলে যে, বঙ্গবন্ধু সবাইকে মাফ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এটি সত্য নয়। যারা ধ'র্ষ'ণ-হ'ত্যা-অ'গ্নিসং'যোগ-লু'টপা'টের মতো জ'ঘ'ন্য অপ'রাধে লি'প্ত ছিল, তাদের জন্য বিচারের ব্যবস্থা করে; যারা ল'ঘু অপ'রাধে যুক্ত ছিল, তাদেরকে ল'ঘু দ'ণ্ড দিয়ে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মান'বতাবিরো'ধী অপরাধে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনার বিচারের দাবিও জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এছাড়াও পাকিস্তানিদের এদেশীয় দো'সর, যারা এসব ঘৃ'ণ্য অপ'রাধে যু'ক্ত, তাদেরও বিচারপ্রক্রিয়া চলমান ছিল। প্রমাণিত এসব অপরা'ধীদের ছে'ড়ে দিয়ে তাদের লালন-পালন করেছে বিএনপি। স্বাধীনতার ৫০ বছরের বিএনপির সবচেয়ে বড় অর্জন এটি।

বঙ্গবন্ধুর খু'নিদের পৃষ্ঠপোষকতা: বিএনপির আরেকটি বড় অর্জন হলো বঙ্গবন্ধুদের খু'নিদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হ'ত্যাকা'ণ্ডের সঙ্গে জ'ড়িত ব্যক্তিদের দায়মু'ক্তি দিতে বাংলাদেশে 'ই'নডেম'নিটি অধ্যাদেশ' আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেবছর, ২৬ সেপ্টেম্বর, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই দা'য়মু'ক্তি অধ্যাদেশ জা'রি করে। পরে ১৯৭৯ সালে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই, বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর পর এটি আইন হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে জিয়াউর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর খু'নিদের নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করেই থেমে থাকেনি এই সাম'রিক জা'ন্তা। জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, এই খু'নিরা লিবিয়ায় নিরাপদ জীবনযাপন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে জনশক্তি রফতানির ব্যবসা করে। 

এছাড়াও দেশের মধ্যে কন্স'ট্রাক'শানসহ বিভিন্ন কোম্পানি খু'লে রমরমা বাণিজ্য চালায়। এমনিক তাদের সমর্থকদের লিবিয়ায় নিয়ে গিয়ে, অ'স্ত্র চা'লনার অত্যাধুনিক ট্রে'নিং দিয়ে, আবারো দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাও করে এই চ'ক্র। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে, বিদেশে অবস্থানকারী হ'ত্যাকারীদের কয়েকজনকে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে চাকরি এবং পদোন্নতিও দেয়। এরাই একসময় ফ্রি'ডম পার্টি গঠন করে দেশজুড়ে স'ন্ত্রা'সবা'দী কা'র্যক্র'ম চালায়। এমনকি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে প্র'কা'শ্যে হ'ত্যার চেষ্টাও করে।

স্বাধীনতাবিরোধী ও রাজাকারদের ক্ষমতায়ন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতাবিরোধী স'ম্প্রদা'য়িক অপশক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে জেনারেল জিয়া তার দল বিএনপির ভেতর নিয়ৈ নেয় পাকিস্তানপন্থী সামরিক-বেসামরিক আমলা, জ'ঙ্গিবা'দী মুসলিম লীগ, দক্ষিণপন্থী ও প্রতিক্রিয়াশীল চ'ক্রকে। ১৯৭৯ সালে, লোক দেখানো এক নির্বাচনের মাধ্যমে, রাজাকার চ'ক্রকে জাতীয় সংসদে অধিষ্ঠিত করে জিয়াউর রহমান। এমনকি কু'খ্যা'ত রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানায়। অথচ দালাল আইনে তাকে দ'ণ্ড দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কারণ, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরা নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে, শেষ চেষ্টা হিসেবে যে ষ'ড়য'ন্ত্র করে, সেটার ক্রী'ড়ন'ক ছিল এই আজিজুর রহমান। 

নভেম্বর মাসে জাতিসংঘে পাকিস্তানের কূটনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেয় সে এবং বাংলাদেশে পাকিস্তান হা'নাদার কর্তৃ'ক গ'ণহ'ত্যার কথা অস্বী'কার করে। এমনকি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে অন্যান্য মুসলিম দেশের প্রতিও আহ্বান জানায়। এমন একটি মানুষকে ১৯৭৯ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী বানায় তথাকথিত মুক্তিযো'দ্ধা জিয়াউর রহমান। আর, মুক্তিযোদ্ধা সেনাদের ওপর চালায় বিনাবিচারে হ'ত্যায'জ্ঞ।

এটি সর্বজনবিদিত যে, ১৯৭৯ সালে জিয়ার লোকদেখানো নির্বাচনে বিএনপির ৩০০ প্রার্থীদের মধ্যে ২৫০ জনই ছিল চিহ্নি'ত স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতার পর দা'লালির অভিযোগে এরা অভিযু'ক্ত ও সা'জাপ্রাপ্ত হয়েছিল। এদের দিয়েই মন্ত্রিসভা গঠন করে জিয়াউর রহমান। মুক্তিযো'দ্ধা ও রা'জাকারদের জাতীয় সংসদে একইসঙ্গে বসতে বাধ্য করে সে। তার কু'খ্যা'ত রাজাকার মন্ত্রীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদা দেওয়া হয় মসিউর রহমান যাদু মিয়াকে। মুক্তিযু'দ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের ঠিকাদারি করে অনেক টাকার মালিক হয়েছিল এই যাদু মিয়া। বঙ্গবন্ধু তাকে বিচারের মুখোমুখি করলেও, ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট তাকে জে'ল থেকে ছেড়ে দেয় বঙ্গবন্ধুর খু'নিরা।

জিয়ার অন্য রাজাকার মন্ত্রীদের মধ্যে খন্দকার আবদুল হামিদ বুদ্ধিজীবী হ'ত্যার সঙ্গে জড়িত হিসেবে সন্দে'হভাজনদের একজন। এই লোক পরবর্তীতে ইত্তেফাক পত্রিকায় ‘মর্দে মুমীন’ নামে উপ-সম্পাদকীয়তে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন উদ্যোগের বিরু'দ্ধে লিখতো। সামসুল হুদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তান বেতার থেকে অনুষ্ঠান প্রচার করেছিল। আব্দুল আলিম ১৯৭১ সালে উত্তরাঞ্চলের জয়পুরহাটে সং'খ্যাল'ঘু'দের হ'ত্যা, অ'গ্নিসং'যোগ ও লু'টপা'টের কারণে মূর্তিমান আ'ত'ঙ্ক হয়ে উঠেছিল। মির্জা গোলাম হাফিজ মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবৃতি দিয়ে বলেছিল, 'বাংলাদেশের এই ত'থাক'থিত মুক্তিযু'দ্ধ আসলে একটি ভারতীয় ষ'ড়য'ন্ত্র।' আবদুর রহমান বিশ্বাস প্র'কা'শ্যে পাকিস্তানের পক্ষে এবং মুক্তিযু'দ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। এদের মতো বাংলাদেশবিরোধীরা জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী হওয়ায় আবারো সা'ম্প্রদা'য়িক শক্তি মাথা চা'ড়া দিয়ে ওঠে।

উ'গ্রবাদ ও সা'ম্প্রদা'য়িক শক্তিকে লালন-পালন করে বেড়ে তোলা: ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান সাম'রিক ফ'রমান দিয়ে হাজার বছরের স'ম্প্রী'তির ভিত্তি 'বাঙালি জাতীয়বাদ'-এর অস্তি'ত্ব অস্বী'কার করে। এমনকি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংবিধানের ৩৮ নং অ'নুচ্ছেদ বা'তিল করে সা'ম্প্রদা'য়িক রাজনীতির পথ উ'ন্মো'চন করে। ফলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু হয় এবং উ'গ্রবাদের বিস্তার ঘটে।

এছাড়াও সংবিধানের ১২২ অ'নু'চ্ছেদ তু'লে দিয়ে দা'লালদের ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়, যা ১৯৭৭ সালের ২২ এপ্রিল সং'বিধানের নবম সং'শোধনীর মাধ্যমে আইনে পরিণত করে জিয়াউর রহমান। এমনকি সংবি'ধান কা'টাছে'ড়া করে এই দালা'লদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগও করে দেয় সে। ফলে স্বাধীনতাবিরো'ধী মুসলিম লীগ, জামায়াত, পিডিপিসহ ধর্মভিত্তিক উ'গ্র-সা'ম্প্রদা'য়িক দলগুলো তৎপরতা শুরু করে। দা'প'টের সঙ্গে সমাজে পু'নর্বা'সিত হয় যু'দ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপ'রাধের সঙ্গে জ'ড়িত রা'জাকার, আল ব'দর, আল শামস বা'হি'নীর সদস্যরা।

জিয়াউর রহমানের কারণেই রা'জাকারদের সর্দার গোলাম আজম ১৯৭৮ সালে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং থেকে যায়। এমনকি পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেকে জামায়াতের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করে। জিয়ার ম'দতে এবং গোলাম আজমের নেতৃত্বে, এসময় থেকে দেশজু'ড়ে উ'গ্রবা'দী কার্যক্রম শুরু করে জামায়াত। বিএনপির স'রাস'রি আ'শ্রয়-প্র'শ্রয়ে থেকেই, র'গকা'টা রাজনীতির এক ক'লঙ্ক'জনক অধ্যায় রচনা করে গোলাম আজমের ব্রে'ন চা'ই'ল্ড শিবিরের নেতা-কর্মীরা।

বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর আঘা'ত: বাঙালি জাতীয়তাবাদের বীজম'ন্ত্র ও মুক্তিযু'দ্ধের মূল স্লো'গান ‘জয় বাংলা’কে নিষি'দ্ধ করে জিয়াউর রহমান। এর বদ'লে সে পাকিস্তানি স্টাইলে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ অনুকরণ করে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লো'গান চালূ করে। এর মাধ্যমে মুক্তিযু'দ্ধের মূল চেতনা ধ্বং'সের ষ'ড়য'ন্ত্র চালাতে থাকে। ১৯৭৯ সালে সংসদে দাঁড়িয়ে জিয়ার প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান 'বাংলা ভাষা'র নাম বদল করে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ হিসেবে নতুন নামকরণ করে। এর কারণ, বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল ভিত্তি রচিত হয়েছিল এই বাংলা ভাষার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং জয় বাংলা স্লো'গানের মাধ্যমেই ধর্ম-বর্ণ নির্বি'শেষে পু'রো বাঙালি জাতিকে একতাব'দ্ধ হয়ে উঠেছিল। তাই স্বাধীনতাবিরোধী চ'ক্র এসব বদলে দেওয়ার অপচে'ষ্টা চালালো।

শুধু তাই নয়, জাতীয় সংস্কৃতি বদলে দেওয়ার অপচে'ষ্টা হিসেবে মুক্তিযু'দ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ বেতার’ নামটিও পরিবর্তন করে জিয়াউর রহমান। এর নতুন নাম দেওয়া হয় ‘রেডিও বাংলাদেশ’। হাজার বছরের ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’-এর চেতনা মু'ছে ফে'লে নতুন করে বলা শুরু করে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’।

এমনকি, ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে জেনারেল জিয়া জাতীয় পতাকা পর্যন্ত পরিবর্তনের চেষ্টা করে। ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে 'সবুজ জমিনে কমলা রঙের বৃত্তের' নতুন জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এই পরিবর্তনকে ঘিরে স'মালো'চনার ঝ'ড় উঠলে, জিয়া আবার পুরনো পতাকাকে ফিরে যায়।
সরকারের জাতীয়করণ করা সম্পদ পাকিস্তানকে প্রদান
স্বাধীনতার পর, এখান থেকে শু'ষে নিয়ে যাওয়া সম্পদের ন্যায্য হি'স্যা চান বঙ্গবন্ধু। এজন্য পাকিস্তানিদের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দাবি করেন তিনি। তারা তা না দেওয়ায়, এদেশে থাকা পাকিস্তানিদের সম্পদ জাতীয়করণ করে বঙ্গবন্ধুর সরকার। এবং একইসঙ্গে নিজেদের পাওনায়া বুঝে পেতে দেন-দরবার চা'লিয়ে যান বঙ্গবন্ধু।

কিন্তু জিয়া ক্ষমতা দ'খল করে বাঙালির ন্যায্য হিস্যার বিষয়ে উ'ল্টোপ'থে হাঁটেন। এমনকি বাংলাদেশে পাকিস্তানের যেসব সম্পত্তি জাতীয়করণ করা হয়েছিল, জিয়া সেগুলো পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেন। ক্ষেত্রবিশেষ উপযু'ক্ত ক্ষতিপূরণও দেন। তার পাকিস্তানপ্রেম এতো প্র'কা'শ্য ও তী'ব্র ছিল যে, পাকিস্তানিরা বাংলাদেশকে আবারো পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে যোগ করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ১৯৭৭ সালের ডিসেম্বরে জিয়াউর রহমান যখন পাকিস্তান সফরে যায়, তখন পাকিস্তানের সংবাদপত্রে বলা হয়- প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে নিয়ে একটি ‘কনফেডারেশন’ গঠনে আগ্রহী।

রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা উপহার: একাত্তরের খু'নি-ধ'র্ষ'ক-রাজাকারদের বাংলার মাটিতে শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি হন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় স্বামীর পদাঙ্ক অ'নুস'রণ করেই রাজাকারদের পদায়ন অ'ব্যাহ'ত রাখেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেন স্বাধীনতাবিরোধী আবদুর রহমান বিশ্বাসকে। এর আগে, ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের এমপি ও মন্ত্রী ছিল সে। সে একজন তালি'কাভু'ক্ত রাজাকার। শুধু তাই নয়, রা'জাকার সর্দার গোলাম আজমের নিশ্চিত জীবনযাপনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এমনকি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন এবং পু'রোদমে রাজনীতি করার সুযোগ দেন। অথচ দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু দা'লালদের ভোটাধিকার ও রাজনীতি করার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

তবে, জিয়াউর রহমানের সময় দেশে ফে'রে গোলাম আজম। এরপর থেকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছাড়াই সে দেশে অবস্থান করছিল এবং আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবেই সে বাংলাদেশের জামায়াতের প্রধান হিসেবে অধি'ষ্ঠিত হয়। এসবের প্রতিবাদে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে প্রতিবাদ শুরু হয় দেশজু'ড়ে। কিন্তু খালেদা জিয়ার সরকার জাহানারা ইমাম ও মুক্তিযোদ্ধাদের দে'শাদ্রো'হী হিসেবে বিচারের মু'খোমু'খি করে। খু'নি-ধ'র্ষ'কদের স'র্দার গোলাম আজমের বিচার চাওয়ার দায়ে দে'শাদ্রো'হী পরিচয় নিয়ে শেষ নিঃ'শ্বাস করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।

জিয়াউর রহমানের প্রধানমন্ত্রী ও আরেক কু'খ্যা'ত রাজা'কার শাহ আজিজুর রহমানও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আরাম-আয়েশ করে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃ'ক্ত থাকে। এদিকে, ২০০১ সালে আবারো সরকার গঠন করে বিএনপি। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে খালেদা জিয়া ১৯৭১-এর আল বদর ও আল শা'মস বাহি'নীর দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুজাহিদকে মন্ত্রিত্ব দেন। বাংলাদেশের পতাকাবাহী গাড়ি থেকে নেমে প্র'কা'শ্য গণমাধ্যমে মুজাহিদ দ'ম্ভ করে বলে, 'বাংলাদেশে কোনো যু'দ্ধাপরা'ধী নাই।' এসময় দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সং'খ্যাল'ঘু নি'র্যা'তন ও উ'গ্রবা'দী গো'ষ্ঠীর অপতৎ'পরতা বাড়তে থাকে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ জ'ঙ্গি রাষ্ট্রের ত'কমা পায়।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ১৯৭১ সালে গ'ণহ'ত্যা ও ধ'র্ষ'ণের মাস্টার'মাই'ন্ড হিসেবে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া বিভিন্ন জনসভায় এবং দলের বিবৃতিতে নিয়মিত তাদের নি'র্দো'ষ বলে দাবি করেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া থা'মানোর জন্য আন্দোলনের হু'মকি দেন।

এদিকে পাকিস্তানপ্রেমে স্বামীর চেয়ে পিছিয়ে নেই খালেদা জিয়াও। তিনি আরো একধাপ ওপরে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়, মুক্তিযু'দ্ধের সময় বাংলাদেশে স'হিং'সতা চা'লানো পাকিস্তানি কর্নেল জানজুয়া মৃ'ত্যুর খবর পেয়ে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে গভীর শো'ক প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। এখানে একটি ব্যাপার উল্লেখ না করলেই নয়, মু'ক্তিযু'দ্ধের পর খু'ন-ধ'র্ষ'ণ-লু'টপাটের মতো ঘৃ'ণ্য কর্মে যু'ক্তদের বিচারের জন্য ট্রা'ইবু'নাল গঠন করেছিলেন তিনি। বাকিদের ল'ঘু দ'ণ্ড দিয়ে সাধারণ ক্ষ'মা ঘোষণা করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান বন্দি থাকা দশ হাজারের বেশি খু'নি-ধ'র্ষ'কদেরও ছে'ড়ে দিয়ে, তাদের অনেককে নিয়ে বিএনপি গঠন করে। তেমনি ভ'য়া'নক অপরাধে যু'ক্ত পাকিস্তানি সেনাবাহি'নীরও ১৯৫ জনকে বিচারের জন্য চি'হ্নি'ত করা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার যে পাকিস্তানি সেনার জন্য প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শো'কাহ'ত হয়ে পড়েছিলেন, এই জা'নজু'য়া হ'ত্যা-ধ'র্ষ'ণের দায়ে অভিযু'ক্ত ১৯৫ জন পাকিস্তানি জা'ন্তার অন্যতম একজন।

দেশজু'ড়ে জ'ঙ্গিবাদের বিস্তার: ২০০১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিকল্প সরকার ব্যবস্থা গড়ে তো'লে তার ছেলে ও বিএনপি নেতা তারেক রহমান। হাওয়া ভবনে বসে আন্তর্জাতিক জ'ঙ্গি চ'ক্রের সঙ্গে অপ'তৎপ'রতায় লি'প্ত হয় সে। এমনকি বঙ্গবন্ধুকন্যা ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হ'ত্যার জন্য গ্রে'নে'ড হা'ম'লার পটভূমি রচনা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শেখ হাসিনার ওপর গ্রে'নে'ড হা'মলায় অংশ নেয় বিভিন্ন জ'ঙ্গি সংগঠনের নেতারা। বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ডি'জিএ'ফআই ও এনএসআই-এর তৎকালীন মহাপরিচালক, মাওলানা তাজউদ্দীন, মুফতি হান্নানরা এই হা'ম'লার আগে তারেকের সঙ্গে বৈঠক করে। পরবর্তীতে মাম'লার আসামিরা এসব স্বী'কার করেছে।

এমনকি মুফতি হান্নান ধ'রা পড়ার পর, ডিজিএফআই-এর ক্ষমতা ব্যবহার করে মাওলানা তাজউদ্দীনকে ভিন্ন নামে পাসপোর্ট বা'নিয়ে দিয়ে, বাংলাদেশ ছাড়ার ব্যবস্থা করে দেয় তারেক রহমান। বাংলাদেশকে সা'ম্প্রদা'য়িক ও উ'গ্র রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য হে'ন কোনো অ'পচে'ষ্টা নাই, যা জিয়াউর রহমানের পুত্র তারেক রহমান করে নাই। তার খু'নি চ'ক্রের একজন মাজেদ ভা'ট জানায়, পাকিস্তানের গো'য়ে'ন্দা সং'স্থা আ'ই'এস'আইয়ের লোকজনের কাছ থেকে সে প্রশিক্ষ'ণপ্রাপ্ত হয়েছে। জ'ঙ্গি সং'গঠন ল'স্ক'র-ই-তৈ'য়'বা, তে'হরি'ক-ই-জে'হা'দ ইস'লামি, জ'য়শ'-ই-মো'হাম্ম'দ, আল ব'দ'র, হ'রকা'তুল জি'হা'দ এবং তা'লে'বানের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
এই জ'ঙ্গি নেট'ওয়া'র্কের পু'রো মে'কানি'জম নিয়'ন্ত্রণ করতো তারেক রহমান। পরবর্তীতে আদালতে এসব প্রমাণিত হওয়ায় সেই সময়ের শী'র্ঘ গো'য়ে'ন্দা কর্মকর্তারা দ'ণ্ডি'ত হয়েছে। তারেক রহমান প'লা'তক হিসেবে লণ্ডনে আছে। কিন্তু রাজনৈতিক ডা'মাডো'ল সৃষ্টি করে, নিজের এসব অ'পক'র্ম ঢা'কা দিয়ে রাখার অ'ব্যাহ'ত প্রচে'ষ্টা চা'লিয়ে যাচ্ছে।

৫০ বছরের মধ্যে ১৫ বছর ধ'রে নৈ'রা'জ্য চা'লায় বিএনপি: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে, প্রথম ২০ বছরের মাত্র সাড়ে ৩ বছর ছিল গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধুকে হ'ত্যার পর, টা'না ১৫ বছর জিয়াউর রহমান ও এরশাদের মতো সা'মরি'ক শা'সক'দের হাতে জি'ম্মি হয়েছিল এই দেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে দু'র্বার আ'ন্দোল'ন গড়ে তু'লে এই একনায়কতন্ত্রের প'তন ঘ'টান এবং গণতন্ত্র পু'নরু'দ্ধার করেন। ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র ফিরলেও, ক্ষমতায় বসেন খালেদা জিয়া। সাম'রিক একনায়ক জিয়াউর রহমানের পাকিস্তানি ভাবধারার আদর্শে হৃ'ষ্ট-পু'ষ্ট এই নাম-কা-ও'য়াস্তের গণতন্ত্র আরো বেশি ক্ষতির কারণ হলো। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মোট দুই মেয়াদে, বিএনপির ১০ বছরে, দেশে উ'গ্রবা'দী গো'ষ্ঠী পা'কাপা'কিভাবে খুঁ'টি গে'ড়ে বসে। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ বছরই ক্ষমতায় ছিল জিয়া-এরশাদ-খালেদা-তারেক চ'ক্র। আর তাদের নিত্যদিনের স'ঙ্গী ছিল খু'ন ও ধ'র্ষ'ণের মা'স্টা'রমা'ইন্ড স্বাধীনতাবিরো'ধী জামায়াতের ঘৃ'ণিত নেতাকর্মীরা।

কিন্তু গত এক যুগ টা'না সরকারে থেকে দেশকে তাদের হিং'স্র থা'বা থেকে র'ক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেভাবে সোনার বাংলা গড়োর উদ্যোগ নিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেছেন। মানুষের অর্থনৈতিক জীবন যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি ভূ'লুন্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে এই সময়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযু'দ্ধের আদর্শ নিয়ৈ এখনো নোং'রা রাজনীতি করে যাচ্ছে বিএনপি। অথচ স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে, জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে, বিএনপি ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে, বাঙালি জাতীয়তাবাদ- হাজার বছরের বাঙালি সং'ষ্কৃ'তি- অ'সা'ম্প্রদায়ি'কতা- শো'ষণমু'ক্ত সমাজের স্বপ্নকে দুঃস্ব'প্নে পরিণত করেছিল। তাদের হাত র'ঞ্জি'ত হয়েছে শত শত মুক্তিযো'দ্ধার র'ক্তে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে দুর্নী'তিতে চ্যাম্পিয়ন ও জ'ঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তারা।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নি'র্মম'ভাবে সপরিবারে হ'ত্যার পর রাতারাতি ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে যে, সেই ব্যক্তির নাম জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম-নি'শা'না মু'ছে ফে'লতে আমৃ'ত্যু চেষ্টা চা'লিয়ে যায় জিয়া 'গং'। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে নিজেকে সেনাবাহি'নীর প্রধান ও উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশা'সক হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দ'খল করে সে। মূলত তখন থেকেই ব'ন্দু'ক হাতে রাষ্ট্র চা'লাতে শুরু করে জিয়া। ১৯৭৭ সালে সে দ'খ'ল করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সাম'রিক আইন প্রশা'সকের পদ। এরপর দীর্ঘ মেয়াদে সেই ক্ষমতা কু'ক্ষি'গত করে রাখার জন্য, ১৯৭৮ সালে সেনানিবাসে বসে গঠন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। নিজেকে সবসময় একজন মু'ক্তিযো'দ্ধা বলে দা'বি করলেও, স্বৈ'রা'চার জিয়াউর রহমান তার দলটি গঠন করে কু'খ্যা'ত রা'জাকার ও স্বাধীনতাবি'রোধী চ'ক্রকে সঙ্গে নিয়ে। এরপর আমৃ'ত্যু বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধবি'রোধী অপত'ৎপরতা চা'লিয়ে গেছে সে।

শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও একই পথে হেঁটেছেন, দেশজুড়ে তা'ণ্ড'ব চা'লানোর সুযোগ করে দিয়েছেন জামায়াত ও উ'গ্রবা'দী দেশবিরোধী গো'ষ্ঠী'কে। এমনকি তাদের ছেলে তারেক রহমান ছা'ড়িয়ে যাচ্ছিলো বাবা-মাকেও। আন্তর্জাতিক জ'ঙ্গি নে'টওয়া'র্কের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশকে অ'স্থি'র করে তু'লেছিল সে। এমনকি এখনো বিদেশে বসে দেশ নিয়ে নোং'রা খেলায় মে'তে ওঠে এই বিএনপি নেতা। বাংলাদেশের ইতিহাস বি'কৃ'ত করে জাতীয়ভাবে ধি'ক্কৃ'ত হয়ে; নিজের দু'র্নী'তি, জ'ঙ্গি পৃ'ষ্ঠপোষ'কতা ও হ'ত্যার মি'শনগু'লো চা'পা দিতে; বিএনপি তথা রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে লন্ডনে ফে'রার হয়ে আছে সে। দলটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের ঢা'ল হিসেবে, এখনও তারা সেই কাজই করে যাচ্ছে!

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে