ঢাকা : আগামীকাল বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।দেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ-গণধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেয়া হয়েছে বলে সোমবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান জানান।
উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিগত বেশ কিছুদিন থেকে সারাদেশে ধর্ষণ-গণধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।’
ডা. শফিকুর বলেন, মিডিয়ার বদৌলাতে এসব পৈচাশিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেনে যাচ্ছে। থানায় সুনির্দিষ্টভাবে মামলাও দায়ের করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততার কারণে দুর্বৃত্তরা সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার হচ্ছে না এবং শাস্তিও পাচ্ছে না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, কর্মজীবী মহিলা ও স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। শিশুদেরকে অপহরণ, ধর্ষণ ও খুন করা হচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, দেশে যেন কোনো সরকার নেই এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নেই।
কয়েকটি ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে বলা হয়, বাসে, ট্রাকে ও নৌকায় তুলে নিয়ে দুর্বৃত্তরা নারীদের গণধর্ষণ করছে।
নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, মাগুরাতে যুবলীগের দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তার গর্ভের সন্তানটি গুলিবিদ্ধ হয়। এখন তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ সকল পৈচাশিক ঘটনার সঙ্গে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা জড়িত।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লোক দেখানো ভূমিকা রাখছে মাত্র। ফলে এ সব ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের আইনশৃঙ্খার এতোই অবনতি ঘটেছে যে, কেউ কোথাও নিরাপদ নয়, এমনকি নিজের বাড়িতেও।
‘সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও লালিত-পালিত এসব দুর্বৃত্তদের’ অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির পাশাপাশি জনগণকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানান