শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৫৩:২২

লোকজন এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে, আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে

লোকজন এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে, আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে

রাজধানীর মিরপুর ও আঁটিবাজারের বাসিন্দা ফয়েজ খান ও ফোরকান। ব্যবসায়িক কাজে ‘এমভি অভিযান-১০’ নামক লঞ্চে করে অন্যান্য যাত্রীদের মতো ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। গতকাল সন্ধ্যার পর লঞ্চটি সদরঘাট থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে রাত তিনটার দিকে লঞ্চটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে আসা ফয়েজ খান ও ফোরকান বেঁচে আসার লোমহর্ষক বর্ণনা।দিলেন।

তারা বলেন, তখন রাত তিনটা।অনেকেই ঘুমাচ্ছিলেন লঞ্চের কেবিনে। আমরাও কেবিনে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ যাত্রীদের চিৎকার শুনতে পাই।ভেবেছিলাম লঞ্চটি ডুবে যাচ্ছে।কিন্তু দ্রুত কেবিন থেকে বের হয়ে দেখি লোকজন এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে।আর আগুন আগুন বলে চিৎকার করছে। তখন শুনতে পাই নিচে ইঞ্জিন থেকে আগুন লেগেছে।কী করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।দ্রুত বাড়তে থাকে আগুনের তীব্রতা।ছড়াতে থাকে পুরো লঞ্চে। ।গভীর রাত, বাইরে তাকিয়ে দেখি চারিদিক অন্ধকার। বাঁচতে হলে নদীতে ঝাপ দেয়া ছাড়া উপায় নেই।অনেক ভয় কাজ করছে।তারপরও বুকে সাহস নিয়ে লঞ্চের ‘বয়া’ নিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি।বয়া নিয়ে শীতের রাতে আধাঘণ্টা সুগন্ধা নদীতে সাঁতার কাটি।তারপর অনেক কষ্টে তীরে উঠি।

ফয়েজ খান বলেন, গভীর রাত হওয়ায় অনেকেই কেবিনে ঘুমাচ্ছিলেন।তারা ঘুম থেকে উঠতে পারেনি।অনেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন।তিনি বলেন, আমাদের কয়েকলাখ টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে গেছে।তারা ধারণা করছেন হতাহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে। সাইদুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, লঞ্চে শিশু, বুড়ো, নারীসহ কমপক্ষে তিন শতাধিক যাত্রী ছিল।

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে