শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:১৩:৪৭

যাত্রীরা যে কারণে স্টাফদের গালমন্দও করেছিল লঞ্চে আগুন লাগার পর

যাত্রীরা যে কারণে স্টাফদের গালমন্দও করেছিল লঞ্চে আগুন লাগার পর

এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর যদি দ্রুত লঞ্চটিকে নদী তীরে নোঙর করা যেতো তবে এতো হতাহতের ঘটনা ঘটতো না বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। মুনুসুর নামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ জানান, ‘নলছিটির পরপরই লঞ্চটিতে আগুন লাগে।

তখনও এর মাত্রা প্রকট ছিল না। যাত্রীরা লঞ্চটিকে তীরে নিতে স্টাফদের গালমন্দও করেছে। তবে চালক কিছুটা তীরে নিয়ে আবার লঞ্চটিকে নদীর মধ্যে নিয়ে আসেন। এ সময় আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে, বেশিরভাগ নদীতে ঝাঁপ দেয়। লঞ্চের যাত্রী আব্দুল্লাহ বলেন, যারা ঝাঁপ দিতে পারেনি বা যারা সাঁতার জানেন না তারা পুড়েই অঙ্গার হয়ে গেছেন। যদি লঞ্চটিকে কোনোভাবে সঙ্গে সঙ্গে তীরে নেওয়া যেতো তাহলে এতো লোক মারা যেতো না।

রিনা নামে অপর এক যাত্রী জানান, পুরো লঞ্চে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে কাউকে দেখা যায়নি। হয়তো তাদের আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত সরঞ্জামই ছিল না।

এদিকে ঘটনাস্থলে লঞ্চটি পরিদর্শনে এসে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের চালকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তাতে চালকের অদক্ষ ছিল হয়তো। তবে পুরো ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া যারা আহত নিহত হয়েছেন তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

এছাড়া শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থাকায় আমি ঢাকায় বার্ন হাসপাতালে কথা বলে রেখেছি। বরিশালে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিদর্শনকালে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে