শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ০২:১০:৫২

হাসপাতালের সামনে কান্নার রোল, স্বজনদের আহাজারি

হাসপাতালের সামনে কান্নার রোল, স্বজনদের আহাজারি

ভোরের আলো ফোটার আগেই হাসপাতালের সামনে কান্নার রোল। পাথরঘাটার মো. মোস্তফা তার মেয়ে তাইবাকে খুঁজতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের প্রধানফটকে লাগানো লঞ্চ দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া নিখোঁজ যাত্রীদের ছবি দেখছেন। এই ছবির মধ্য তিনি খুঁজে ফিরছেন তার মেয়েকে। সেখানে সেখানে স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় মোস্তফার হাতে থাকা ছবি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টানানো ছবির সাথে মিল রয়েছে। মোস্তফার মতো আরও নিখোঁজ লঞ্চ যাত্রীদের স্বজনরা এই হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করছেন। স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিহতদের লাশ এসে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।

বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের দুই যমজ বোন সামিয়া (৪) ও লামিয়া (৪), রিয়াজ (৩৫) পাথরঘাটার আ. রাজ্জাক, জাহানারা বেগম, বামনার উপজেলা স্বপ্নীল (১৪)। রাতেই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। লঞ্চটি প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পথে ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনার শিকার হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, শুক্র ও শনিবার দুদিন বন্ধ থাকায় ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিল লঞ্চে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চটি থেকে ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ বাহিনী।

স্ত্রী, এক মেয়ে, দুই নাতিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বরগুনা সদর উপজেলা আমতলী গ্রামের মো.স্বপন। লঞ্চ দুর্ঘটনায় স্ত্রী, দুই মেয়ে ও দুই নাতি নিখোঁজ হয়। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকার একটি চর থেকে এক মেয়েকে উদ্ধার করা হয় এবং উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে খুঁজে পান স্ত্রীকে। রাতেই জেলা প্রশাসক লাশ হস্তান্তর করেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে