শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ০৮:১৩:৪৬

তীরে এসে দেখেন কোলে শিশু তাবাসসুম নেই , কখন যে ফসকে গেছে টের পাননি বাবা

তীরে এসে দেখেন কোলে শিশু তাবাসসুম নেই , কখন যে ফসকে গেছে টের পাননি বাবা

গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঢাকা থেকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে করে বরগুনায় গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন তুহিন। বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের বাসিন্দা তুহিন।

ওইদিন দিবাগত রাত ৩টার দিকে লঞ্চে আগুন লাগে। লঞ্চে আগুন তখন প্রাণে বাঁচতে আড়াই বছরের সন্তান তাবাসসুমকে নিয়ে স্ত্রীর হাত ধরে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। কিন্তু তীরে এসে দেখেন কোলে নেই শিশু। কখন যে মেয়ে কোল থেকে ফসকে গেছে তা টের পাননি বাবা তুহিন।

নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মেয়ের খোঁজে দিশেহারা বাবা তুহিন। কখনো হাসপাতালে আবার কখনো নদীতীরে ছুটে বেড়ান তিনি। নিখোঁজ মেয়ের শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রী। কথা বলার শক্তি নেই তার।

শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত শিশু তাবাসসুমকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে অবশেষে বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে এসে খোঁজ নেন তার স্বজনরা। হাসপাতালে এসে জানতে পারেন যেসব মরদেহ শনাক্ত হয়নি সেগুলো বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠে জানাজা দিয়ে সদরের পোটকাখালীতে দাফনের জন্য নেওয়া হয়েছে।

এরপর সেখানে গিয়ে কফিন থেকে শিশু তাবাসসুমের মরদেহ করে স্বজনরা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
মরদেহ শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানার পর তাবাসসুমের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন এবং দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, শিশু তাবাসসুমের মরদেহ তার পরিবার শনাক্ত করতে পেরেছে। তাই সরকারিভাবে দাফন না করে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে