ঢাকার ধামরাইয়ে ঠিকাদারের অবহেলায় সড়কের পাশের কেটে দেওয়া গাছ চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার ওপর পড়ে বৃষ্টি রাণী ঘোষ (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবাসহ গুরুতর আহত হয়েছে আরো আটজন। সোমবার বিকেলে ধামরাইয়ের কালামপুর-সাটুরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাটুলিয়া ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃষ্টি রাণী ঘোষ ধামরাইয়ের মহিষাশ গ্রামে তার নানা সুভাষ ঘোষের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিল। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ কাটিগ্রামে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত বৃষ্টি রাণী ঘোষের বাবা নিরঞ্জন ঘোষ (৪৫), অটোরিকশার চালক ধামরাইয়ের মধুডাঙ্গা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৬), যাত্রী আমছিমুর গ্রামের মিনহাজ উদ্দিন (৩০), সানোড়া গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্র শহিদুল ইসলাম (১৪), কালামপুর গ্রামের শাকিল (১৪), নান্দেশ্বরী গ্রামের মজিবর রহমান (৩৩)। গুরুতর আহত চারজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
জানা গেছে, সামাজিক বন বিভাগের নিলামে বিক্রি করা কালামপুর-সাটুরিয়া সড়কের বাটুলিয়া ব্রিজের কাছে কোনো সতর্কতা বা নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই গাছ কাটছিলেন রুবেল হোসেন নামের এক ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকরা। এ সময় বড় একটি গাছ সাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা কালামপুরগামী যাত্রীবাহী একটি চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার ওপর পড়ে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বৃষ্টি রাণী ঘোষ নিহত হয়। ঘটনার পরে শ্রমিকরা পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে ঠিকাদার রুবেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আহত সিএনজি অটোরিকশার চালক শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুই পাশে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই গাছ কাটছিলেন তাঁরা। তাঁদের অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ধামরাই থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল কুমার দাস বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।