নারায়ণগঞ্জ জেলার মাসদাইরে বুধবার সকাল পৌনে ১০টায় মজলুম মিলনায়তনে চলছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আয়োজনে ওই দোয়া মাহফিল চলাকালেই সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের মোবাইল ফোন বেজে উঠে। তৈমুর আলম ফোনে কথা বলা শুরু করেন। অপর প্রান্ত থেকে কথা বলছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনের খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি কার কি অবস্থান নানান প্রশ্ন করে জেনে নিচ্ছিলেন তিনি।
বুধবার দুপুরে দলীয় মহাসচিবের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার বিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘ওলামা দলের দোয়া চলাকালীন মহাসচিব আমাকে ফোন করে নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এ সময় মহাসচিব বলেছেন, নির্বাচনের মাঠে আপনার কি কি সমস্যা আছে, আমাদের জানান। বিএনপি আপনার পাশে।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেছেন, তৈমুর সাহেব জনগণের দাবির মুখে, পরিবেশ পরিস্থিতিতে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এখন জনতার প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বিজয়ী হলে জনতার বিজয় হবে। তিনি ব্যর্থ হলে কিন্তু সরকার বলবে বিএনপির একজন নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পরাজয় বরণ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আপনারা বিবেক বিবেচনা করে যা ভালো মনে হয় করবেন। আপনাদের যার যার অবস্থান থেকে আপনারা আপনাদের কর্তব্য ঠিক করে নেবেন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, মহাসচিব যখন ফোন দেন তখন আমরা ওলামা দলের একটি বৈঠকে ছিলাম। আমি তখন তৈমুর আলম খন্দকারের কাছে ফোন দিলে তিনি জানান-তার সাথে মহাসচিবের কথা হয়েছে। তিনি প্রার্থীর খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
এটিএম কামাল আরও জানান, মহাসচিব আরো বলেন-নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনে কাজ করতে দলীয় কোনো বিধি নিষেধ নেই। আপনারা যদি ইচ্ছা করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যদি কাজ করেন এতে দল বাধা দেবে না। যেহেতু আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করি তাই স্থানীয় মানুষের চাহিদা ও তাদের পছন্দে আমাদের কোনো বিধি নিষেধ নেই।