তলাবিহীন ঝুঁড়ি পরিপূর্ণ হয়ে এখন উপচে পড়ছে বলে মন্তব্য করছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, যে আমেরিকা এক সময় বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছিল। সেই দেশের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিজ দেশ কেনিয়া গিয়ে বলেছেন, 'তোমরা যদি উন্নয়ন করতে চাও তাহলে শেখ হাসিনাকে অনুসরণ কর, বাংলাদেশকে অনুসরণ করো।' তোমাদের সেই বটমলেস বাস্কেট পরিপূর্ণ হয়ে এখন উপচে পড়ছে।
আজ বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সড়ক ভবন মিলনায়তনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সিএজি কার্যালয় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ই মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমান বললেন, 'আমি যদি ঘোষণা নাও দিবার পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা কর। হুকুম দিলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গ্রামে-গ্রামে, মহালয়া-মহালয়া, পাড়ায়-পাড়ায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলো। অর্থাৎ গেরিলা যুদ্ধের যা যা কথা বলে দিলেন।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, যে যত বড় দায়িত্বে থাকেন তার তত হিসাব করে কথা বলতে হয়। অনেকেই বলেন, বঙ্গবন্ধু তো চাইলেই ৭ তারিখ স্বাধীনতা ঘোষণা দিতে পারতেন। এত ঘুরিয়ে পেচালেন কেন। কিন্তু ওই সময়ে যদি তিনি ঘোষণা দিতেন, তাহলে বিশ্ব বলতো, এটা বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি দেখলেন বিশ্ব জনমত আমাদের পক্ষে কিনা। যখন আমাদের পক্ষে আসল তখনই আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লাম। তখন বিশ্ব আমাদের পক্ষে ছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিশ্ব নেতা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা মিলে দেশ শাসন করেছে মাত্র ২১ বছর। আর বাকিরা ২৯ বছর শাসন করেছে। আপনারা দেখেন, আমরা কী করেছি, আর উনারা ২৯ বছর দেশের জন্য কী কী করেছে। এ হিসাব করলেই বুঝা যাবে দেশ প্রতিষ্ঠিত হোক এটা তারা চায় নাই।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন বিরোধী দলে থেকে শেখ হাসিনা কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার দাবি করেন। ভর্তুকি দিলে কৃষিতে উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বাংলাদেশ যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হই তাহলে বিশ্ব থেকে রিলিফ ও সহযোগিতা পাব না।