সোমবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০২২, ০৩:১৪:২০

অন্য লঞ্চগুলোর চেয়ে তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছাতে বেপরোয়া চালান আগুন লাগা লঞ্চটি

অন্য লঞ্চগুলোর চেয়ে তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছাতে বেপরোয়া চালান আগুন লাগা লঞ্চটি

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের সময় শামীম আহমেদ নামের এক মালিক এমভি অভিযান-১০ লঞ্চেই ছিলেন। ইঞ্জিনরুমে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখে অন্য কর্মীদের মতো তিনিও লঞ্চ থেকে নেমে যান। লঞ্চের আরেক মালিক তাঁর ভাই রাসেল আহমেদ অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে গেলেও মালিক হিসেবে পরিচয় দেননি। হতাহতদের স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন মালিকপক্ষের ওপর ফুঁসে উঠলে তিনি সেখান থেকে ঢাকায় চলে আসেন।

লঞ্চের চার মালিকের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রে জানা গেছে। গত বুধবার রাতে সূত্রাপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে শামীম ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ দুজন গত ২৭ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া হামজালালের ভাতিজা। অন্য মালিক তাঁর আরেক ভাতিজা ফেরদৌস হাসান রাব্বি (১৬)।

ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘শামীম স্বীকার করেন, ঘটনার সময় তিনি লঞ্চে ছিলেন। ইঞ্জিনরুমে আগুন লাগার পর তিনি নেমে যান। অন্য লঞ্চগুলোর চেয়ে তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছানোর জন্যই তাঁরা অভিযান-১০ বেপরোয়া চালান। অনুমোদন ছাড়াই ৭২০ হর্স পাওয়ারের দুটি ইঞ্জিন লঞ্চে লাগানো হয় বলে তাঁরা স্বীকার করেন।’

সূত্র জানায়, সবার আগে গন্তব্যে পৌঁছতে ঘটনার দিন হামজালাল সদরঘাটে গিয়ে সুপারভাইজার আনোয়ার ও ভাতিজা শামীমকে লঞ্চটি দ্রুত চালানোর নির্দেশ দেন। লঞ্চে আগুন লাগার পর তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ হলেও তাঁরা যাত্রীদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেননি।

জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শামীম ও রাসেলকে নৌ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন মামলার সাত আসামি কারাগারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে