এমটিনিউজ ডেস্ক : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে আজ সোমবার বিকেলে। তবে ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ার শুরুতে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘রায় লিখতে আমি একটি তথ্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছি। তা হলো চেকপোস্টে উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান আলী প্রথমে মেজর সিনহার পরিচয় পেয়ে স্যালুট দিল এবং চলে যেতে বলল। এরপরও কেন হত্যাকাণ্ড ঘটল?’ বিচারক আরও বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, নাকি অন্য কিছু!’
বিচারক বলেন, “আমি উভয়পক্ষের আইনজীবীদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাই। আইনজীবীদের কাছে জানার পরে আসামি শাহজাহান আলীকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, 'আসামি রাজীব মেজর (অব.) সিনহার পরিচয় পেয়ে স্যালুট দেয়। আমিও স্যালুট দিয়ে চলে যেতে বলি। কিন্তু চেকপোস্টের পেছনে বটগাছের নিচে একা দাড়িয়ে ছিল পরিদর্শক লিয়াকত। সে কেন সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল? তা আমরা জানতাম না। মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যে লিয়াকত আলী দৌড়ে এসে থামিয়ে গুলি করে দেয়। এ কারণে আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি।”
বিচারক ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, ‘যদি ওই সময় সিনহার পরিচয় পাওয়ার পর হত্যাকাণ্ড আটকানো যেত, তাহলে আজ এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না।’
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন।