এমটি নিউজ ডেস্ক : বুধবার রাত নয়টার দিকে সুরভী-৭ নামের একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ১১টার দিকে লঞ্চটি ধলেশ্বরী পার হওয়ার সময় হঠাৎ একটি ধাক্কা খেলে বিকট শব্দ হয়। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে অনেকে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। আবার অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
এ সময় আকস্মিক বিকট শব্দ শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে যাত্রীরা জানতে পারেন লঞ্চের সঙ্গে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়েছে। ওই লঞ্চের যাত্রী আরিফ হোসেন এভাবেই গতকাল রাতের ওই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিলেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চের সঙ্গে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সংঘর্ষের পর ওই বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
আর লঞ্চটির সামনের অংশ ফেটে যাওয়ায় অল্পের জন্য লঞ্চের যাত্রীরা রক্ষা পান। পরে ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করা হলে এমভি কীর্তনখোলা-১০ নামের একটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে আসে। কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বরিশালে পৌঁছেছে। লঞ্চের আরেক যাত্রী মোসাদ্দেক হাসিব বলেন, মানামী, সুরভী ও পারাবাত—এই তিন লঞ্চ নদীতে প্রতিযোগিতা করে চালাচ্ছিল। বাল্কহেডে আলো না থাকার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রতিযোগিতার কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
মুন্সিগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস প্রথম বলেন, মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীর মোহনার অদূরে চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় বালুবাহী বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সুরভী-৭ লঞ্চের পরিদর্শক মো. সোহেল বলেন, রাতে ঘন কুয়াশার কারণে সামনের কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আবার বাল্কহেডটিতেও কোনো আলো ছিল না।