নিউজ ডেস্ক : সুযোগ বুঝে কোপ মারে বাসমালিক ও ড্রাইভাররা। প্রতি বছরের মত এবারো তার ব্যত্যয় ঘটেনি। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া নিয়েছে রিকশা-ভ্যান ও বাস কন্ডাক্টররা।
এ কারণে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি ফেরত মুসল্লিদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। মুসল্লিরা কখনো পায়ে হেঁটে, রিকশা, ভ্যান বা পিকআপ ভ্যান এবং বাসে দ্বিগুণ ভাড়ায় নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দেন। কম ভাড়া দিয়ে যেতে চাইলে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ির ছাদে উঠতে হয়েছে। তাতেও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয়েছে।
আব্দুল্লাহপুর থেকে সদরঘাটগামী বিভিন্ন পরিবহনে যেখানেই নামেন ১০০ টাকা আর ছাদে ৫০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে। ভাড়ার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। বেকায়দায় পড়ে যাত্রীদের সেই টাকায় আসতে হয়েছে। অনেককে বলতে শোনা গেছে, হে আল্লাহ, বাসমালিক-ড্রাইভারদের হেদায়েত করুন!
গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ তীরে রোববার বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাতের সময়ই তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না ইজতেমা মাঠ এবং নিকটবর্তী এলাকার মাঠঘাট এবং সড়ক-রেল-নৌপথে।
মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার মধ্যরাত থেকে ইজতেমার মূল প্যান্ডেল ঘিরে প্রায় ২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আবদুল্লাপুর থেকে ভোগড়া বাইপাস, হোটেল রেডিসন থেকে টঙ্গী, টঙ্গী-কালীগঞ্জ, স্টেশনরোড থেকে মীরেরবাজার এবং আশুলিয়া সড়কের সড়কের আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। ওইসব এলাকা দিয়ে রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ সীমিত আকারে চলাচল করে।
ভোরে হোটেল র্যাডিসন থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রিকশা-ভ্যান ভাড়া নেয়া হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, সিএনজি অটোরিকশা জনপ্রতি ৫০-১০০ টাকা। এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুরের ভাড়াও ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এয়াপোর্ট থেকে হাউজ ব্লিডিং পর্যন্ত দুজন রিকশায় ১০০ টাকা। সিএনজি ৪০ টাকা করে (৫ জন), ভ্যানে ৮ জন করে ৩০ টাকা করে আদায় করা হয়।
প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লি ও যাত্রীদের বেকায়দায় ফেলে অতিরিক্ত ভাড়া নিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এতে দারুণ দুর্ভোগে পড়তে হয় মুসল্লি ও যাত্রীদের। অথচ বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। সামনের বছরগুলোর বিশ্ব ইজতেমায় যাতে এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
১৭জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম