বুধবার, ০৮ জুন, ২০২২, ০৮:১৪:২১

শেখ হাসিনা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন : ফিরোজ রশীদ

শেখ হাসিনা ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন : ফিরোজ রশীদ

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে স্বাধীন করার মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে তার কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর হয়ে থাকবেন।’

বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা এক সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সর্বনাশা পদ্মায় সেতু পার হয়ে মানুষ দক্ষিণাঞ্চলে যাবে, এটা কেউ বিশ্বাস করেনি। শেখ হাসিনার কারণে সেটা জয় হয়েছে। এ পৃথিবীতে কেউ বেশিদিন বেঁচে থাকবে না। আমরাও থাকব না। কিন্তু একটি কথা বলতে পারি, যতদিন এ পদ্মা সেতু থাকবে, ততদিন দেশের ইতিহাস থেকে শেখ হাসিনার নাম ‍কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। এ সেতুর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। যতদিন এ বাংলাদেশ থাকবে, ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

তিনি বলেন, আজ বাদশাহ শাহজাহান নেই। কিন্তু তার অমর সৃষ্টি তাজমহল আছে। বিশ্ববাসী যখন তাজমহল দেখতে যায়, তখন বলা হয় এটা বাদশাহ শাহজাহানের অমর সৃষ্টি। মোঘল সাম্রাজ্যে অনেক বাদশাহ ছিল। কিন্তু তাজমহল তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। দেশ স্বাধীন, সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছাসহ নিজের সব ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে।

এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে প্রধানমন্ত্রীর আর কোনো ইচ্ছা আছে কি না, জানতে চান এ সংসদ সদস্য।

তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) অনেক কাজ করেছেন। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল বানিয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা বন্দরসহ সবকিছু হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বাকিগুলোও হয়ে যাচ্ছে। আপনার আর কী স্বপ্ন আছে তা জানি না। সেটা যদি আপনার বক্তব্যে বলেন। 

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সর্বনাশা পদ্মা কত মানুষের জীবন যে কেড়ে নিয়েছে, তা বলার ভাষা নেই। ছোট বেলা থেকে শুনেছি পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়া অসম্ভব। মানুষ এ নদী পাড়ি দিতে দিনের পর নদীর পাড়ে বসে থাকতো। পুরো দিন লেগে যেতো এ নদী পাড়ি দিতে। সেই পদ্মা নদীতে সেতু হবে, এর ওপর গাড়ি চালিয়ে পাড়ি দিতে পারব, এটা তো দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। 

১৯৬৩ সালের এসএসসি পাসের পরে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় আসার পূর্বের ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমার মা মাদরাসা থেকে হুজুর ডেকে আনল। কারণ, আমি পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাবো। এ সময় আমার বাড়িতে দোয়া ও কোরআন খতম হয়েছিল।

স্পিকারের মাধ্যমে সব সংসদ সদস্যকে দক্ষিণাঞ্চল সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাকে (স্পিকার) নিমন্ত্রণ জানাচ্ছি,  সংসদের সব সদস্যকে নিয়ে, আমাদের নীলাঞ্চল, শাপলা-শালুক ও লাল শাপলার দেশে যাবেন। আপনি সবাইকে নিয়ে যাবেন। দেখবেন সেই নীলাঞ্চল কত সুন্দর হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি অপরূপ সৌন্দয্যে সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে