সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৫:৫০:৫৬

হাজতখানার বাথরুমে আসামির এ কি কাণ্ড!

হাজতখানার বাথরুমে আসামির এ কি কাণ্ড!

ঢাকা : পেটের ভেতর লুকিয়েও রক্ষা হলো না আরিফ উল্লাহ মুন্সি নামে ৩৬ বছরের এক আসামির।  আদালতের হাজতখানার বাথরুমে তিনি এ কি কাণ্ড ঘটালেন! সোমবার ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার বাথরুমে নিয়ে তিনটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।  বিমানবন্দর থানার ১৮(১)১৬ নম্বর মামলার আসামি তিনি।

সোমবার এই আসামির ১০ দিন রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইউনুস খান।

রোববার সকালে মালয়েশিয়া থেকে বিজি-০৮৭ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন আরিফ।  বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ তার দেহ তল্লাশি করে তিনশ' গ্রাম ওজনের তিনটি সোনার বার, এক বোতল বিদেশি মদ এবং ৬৮ কার্টুন সিগারেট উদ্ধার করে।  এরপর তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়।

সোমবার ওই মামলায় বিমানবন্দর থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আসামিকে দুপুর ২টার দিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করেন।

আদালতে নেয়ার পর রিমান্ড আবেদনের শুনানির আগে তাকে আদালতের হাজতখানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে রাখা হয়।  সেখানে থাকা অবস্থায় আসামি বাথরুমে যেতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল শওকত তাকে বাথরুমে নিয়ে যান।

বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর আসামি আরিফ উল্লাহকে কিছু লুকাতে দেখতে পান কনস্টেবল শওকত।  এতে সন্দেহ হলে আসামি আরিফের কাছে তিনটি সোনার বার দেখতে পান।

এরপর বিষয়টি তিনি হাজতখানার ওসি মুরাদ হোসেনকে জানালে তার জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আরিফ জানান, পায়ুপথ দিয়ে ঢুকিয়ে পেটের মধ্যে করে তিনটি সোনার বার নিয়ে এসেছিলেন তিনি।  বাথরুমে গেলে তিনটি সোনার বার পায়খানার সঙ্গে বের হয়ে আসে।  তার উদ্দেশ্য ছিল, রিমান্ড শুনানিতে তাকে আদালতে তোলা হলে তিনটি সোনার বার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে দিয়ে দেবেন তিনি।

পরে মুরাদ হোসেন বিষয়টি ঢাকার সিএমএম এবং ডিসি প্রসিকিউশনকে জানালে তারা সোনার বারগুলো জব্দ করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, আসামি আরিফ উল্লাহ মুন্সি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার সুলতানপুর গ্রামের মোহাম্মাদ উল্লাহ মুন্সির ছেলে বলে জানা গেছে।
১৮ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে