ঢাকা : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশে ফিরতে চান বলে জানান তার স্ত্রী।
তবে তার কথায়, ‘কারো বিনিময়ে তাকে ফেরত আনার প্রয়োজন নেই।’
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশে আটক ভারতের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী দাউদ মার্চেন্টকে ভারতে ফেরত পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এর বিনিময়ে ভারতে আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে।
তবে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এক্সচেঞ্জ করে কাউতে দিতে হবে বা আনতে হবে, তা নয়। যে বিদেশিদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের কয়েকজন আমাদের কারাগারে রয়েছে। যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠাতে আমরা সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করি। দাউদ মার্চেন্টের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।’
দাউদ মার্চেন্টকে ২০০৯ সালে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতে সে গুলশান কুমার হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত। এরইমধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহরের আবেদন জানিয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকার বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার কয়েকমাস পর, গত বছরের ১১ই মে, ভারতের শিলংয়ে আটক হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। সেখানে তার বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্টে’ মামলার বিচার চলছে।
সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘আমি গত সপ্তাহে ভারতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। বিচার শেষে তিনি দেশেই ফিরতে চান।’
তিনি বলেন, ‘আমি পত্র-পত্রিকায় দেখেছি যে তাকে ফেরত আনতে চায় সরকার। কিন্তু বিচার শেষ হওয়ার আগে কীভাবে সেটা সম্ভব! কারো বিনিময়ে তাকে ফেরত আনার প্রয়োজন নেই।’
এর আগে গত ১১ই নভেম্বর বাংলাদেশের কারাগারে আটক ভারতের উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয় ১৮ বছর পর। এর পরদিনই ভারত সেখানকার কারাগারে আটক নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসমি নূর হোসেকে ফেরত দেয়।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে। সেই নিয়ম অনুযায়ী, বন্দি বিনিময় হওয়া উত্তম। বিনিময় জিনিসটা ভালো না। একজন রাজনীতিবিদ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধে জড়িতদের বিনিময় শোভন নয়।’
সূত্র: ডয়চে ভেলে