ঢাকা : ব্লগার নিলয় হত্যায় তার স্ত্রী আশামনি শুক্রবার রাতে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
খিলগাঁও থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা মো. জসীম মামলা করার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে ভাড়া বাসায় ঢুকে হত্যা করা হলো নীলাদ্রিকে। এবারও পুলিশ উগ্রপন্থীদের সন্দেহ করছে। গতকাল সন্ধ্যায় এক ই-মেইল বার্তায় হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসার আল ইসলাম নামের একটি সংগঠন।
এ নিয়ে চলতি বছরের সাত মাসে চারজন লেখক ও ব্লগার খুন হলেন। এর আগে ২০১৩ সালে খুন করা হয় ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে।
নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় (২৭) গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
তিনি ‘নিলয় নীল’ নামে বিভিন্ন ব্লগে লিখতেন। ফেসবুকেও ছিলেন একই নামে। স্ত্রী আশামনিকে নিয়ে পূর্ব গোড়ানের একটি বাড়ির পাঁচতলায় দুই কক্ষের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তিনি।
গতকাল বেলা সোয়া একটার দিকে চার ব্যক্তি এই বাসার ভেতরে ঢুকেই নীলাদ্রিকে কুপিয়ে হত্যা করে।
পুলিশ বলেছে, তার মাথা ও ঘাড়ে বেশ কয়েকটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন ব্লগার নিলয়। কর্মস্থলে ও বন্ধুদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাননি। ঢাকার বাইরে বদলিও হয়েছিলেন। বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ নৃশংসভাবে খুন হলেন তিনি।
এদিকে ব্লগার নিলয় খুনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে।