এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার মূল কারিগর হবে নবীন সরকারি কর্মকর্তারা বলেও তিনি জানিয়েছেন।
সোমবার (২২ আগস্ট )বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৩তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। সাভারে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়ে গেছেন। কিন্তু সম্পন্ন করে দিতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন এই ঘুনে ধরা সমাজ ভেঙে আমাদের নতুন সমাজ গড়তে হবে। উপনিবেশিক ভাবধারা বা প্রশাসনিক কাঠামো দিয়ে দেশে কোনোদিনও মুক্তি আসবে না।
স্বাধীন দেশের উপযুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা, চিন্তা ভাবনা সবকিছু তৈরি করতে হবে। তারই নেতৃত্বে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে যেমন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য পদ লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলাম পাশাপাশি একটি দেশ পরিচালিত কীভাবে হবে মাত্র নয় মাসের মধ্যে আমাদের সংবিধান দিয়েছিলেন।
যে সংবিধানে আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মৌলিক অধিকারের কথা সব কিছুই তিনি উল্লেখ করে গেছেন। মানুষের যে মৌলিক চাহিদাগুলো অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা তার দিকনির্দেশনাও তিনি দিয়ে গেছেন।
যারা কর্মরত থাকবেন তাদের করণীয় কী সে নির্দেশনাও দিয়ে গেছেন তিনি। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক, মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সবসময় বলতেন যে, বাংলাদেশকে তিনি ‘সুইজারল্যান্ড অব দ্য ইস্ট’ এভাবেই তৈরি করবেন।
লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম আলী আজম।
অনুষ্ঠানে তিনজনকে প্রশিক্ষণ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। এরা হলেন মো. রায়হান আকবর, জুবাইদা ফেরদৌস ও আব্দুল্লাহ আল রাফি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরাদ হোসেন তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।