এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মিডিয়া কাভারেজ পেতে বিএনপি আন্দোলনের নামে সারা দেশে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে কাউকে কিছু বলা হবে না।
আমি পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করে না। আক্রান্ত হলে নিজেকে বাঁচানোর অধিকার আছে পুলিশের। ’
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের মাঝখানে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিভিন্ন সময় হামলার ভিডিওচিত্র দেখান। এর আগে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিএনপির ওপর হামলার তথ্য তুলে ধরে সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সংসদ নেতা বলেন, ‘তাদের কথায় মনে হয় তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে সব করবে তাদের কিছু বলা যাবে না। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি, মিছিল করেন, আন্দোলন করেন।
শান্তিপূর্ণভাবে করলে কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু এরা তো মাঠে নেমেই আগে কোথায় কাকে আক্রমণ করবে, কিভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে। এর একটা কারণ আছে, কারণ হলো এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। মিডিয়াতে কাভারেজ পাওয়ার জন্যই তারা এমন অনেক ঘটনা ঘটায়। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন গুম, খুন, হত্যা নিয়ে কথা হয়। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের পর কী ঘটেছে? পরবর্তী ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার লোক টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
বিএনপি শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হয়েছে। এরশাদের আমলেও নির্যাতিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবার হাতেই নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর কারো প্রতি প্রতিশোধ নিতে যায়নি।
আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন করা। তাই আমরা প্রতিশোধ নেওয়ার পথে না গিয়ে আমরা মানুষের উন্নয়নে আমাদের সবটুকু শক্তি নিয়োগ করেছি। তার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। বিএনপি আমলের চিত্র আপনারা দেখলেন। এরপর বিএনপিকে কী করে সমর্থন জানায়। কী করে তাদের সঙ্গে হাত মেলায় সেটাই প্রশ্ন। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি আমলে শেফালি আর তার মাকে আমি টুঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আশ্রয় দিয়েছি। ফাহিমা, মহিমা, সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমা, ফাতেমা কাকে না নির্যাতন করেছে। ’