নিউজ ডেস্ক : ঘুরে ফিরে সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে গুঞ্জন। এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে হ্যাটট্রিক করবেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক ঘিরে এবারো আলোচনায় তিনি।
সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে অনেকেই মাঠে নামলেও দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো সৈয়দ আশরাফকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চান।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা থাকলেও দলীয় সভানেত্রীর বিশ্বস্ত বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। গত ১০ বছরে দল এবং শেখ হাসিনার দুঃসময়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আশরাফের ইমেজ অন্য যেকোনো নেতার চেয়ে ভালো এমনটাই মনে করেন শেখ হাসিনা। তাছাড়া সৈয়দ আশরাফ শতভাগই দলীয় সভানেত্রীর অনুগত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কোনো প্রকার আপস করেন না তিনি। এসব কারণেই শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো আশরাফকেই সাধারণ সম্পাদক করতে পারেন বলে দলীয় সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, ১/১১-এর পটপরিবর্তনের সময় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল গ্রেফতার হওয়ার পর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সেই সময় আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতা সংস্কারপন্থীর খাতায় নাম লেখান। শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার পক্ষে ফর্মূলাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে হালে পানি পায়নি। সেই সময়কার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফের মত নিবেদিত প্রাণ নেতারা দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।
এরপর ২০০৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে প্রথমবারের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশলাফুল ইসলাম। ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে তাকে দ্বিতীয়বারের জন্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০০ সালে দলের তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল জলিলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
গত ১১ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ এবং পরদিন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২৮ মার্চ দলের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই সাধারণ সম্পাদক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
২১জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম