মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ১০:১০:০৫

আকাশে দেখা দিয়েছে সূর্য, কেটে গেছে শঙ্কা

আকাশে দেখা দিয়েছে সূর্য, কেটে গেছে শঙ্কা

এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে বাগেরহাটবাসীর। জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় বহু মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। সরকারি হিসাবে জেলার ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন ৭৩ হাজার ২০০ মানুষ।

তবে খুব বেশি আঘাত না হেনেই বাগেরহাটের উপকূল অতিক্রম করে ঝড়টি। ভোর হতেই আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষেরা অনেকটা স্বস্তির সঙ্গে ফিরে গেছেন নিজ বাড়িতে। বাগেরহাটের আকাশে দেখা দিয়েছে সূর্য।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলার প্রায় সব এলাকার আবহাওয়া রোদ্রউজ্জল হতে শুরু করে। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। তবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বসতবাড়িও।

শরণখোলা উপজেলা সদরের ফায়েল খায়ের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে থাকা জিলবুনিয়া গ্রামের অনিল ঋষি বলেন, ঘরের অবস্থা ভালো ছিল না। তাই রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। ছেলে-মেয়ে নিয়ে শুধু মুড়ি ও চানাচুর খেয়ে রাত কাটিয়েছি। শুনেছিলাম আশ্রায়ন কেন্দ্রে ভালো খাবার দেওয়া হবে, কিছুই পাইনি।

আবুল হোসেন হাওলাদার নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, বউ-বাচ্চা নিয়ে আসছিলাম। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। খাবার খেয়েছি না খাওয়ার মতো। তারপরও সরকারি জায়গায় নিরাপদে থাকতে পেরেছি তাতেই আমরা খুশি।

বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার ফরিদ উদ্দীন বলেন, রাতে অনেকটা দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। মাঝরাতে আঘাত হানে কী না। তবে সকাল থেকেই রোদ উঠেছে। আল্লাহর রহমতে আমাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

রামপাল উপজেলার চাকশ্রী এলাকার স্বেচ্ছাসেবক আবু তালেব জানান, সিত্রাং ধেয়ে আসার খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা স্থানীয়ভাবে মানুষকে সতর্ক করেছি। আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে আসার অনুরোধ জানিয়েছি। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জেনেছি ঝড় চলে গেলেও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে