পূজা দাস: নদীবক্ষে বিলাস ভ্রমণের বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে ভারতের মোদি সরকার। সবকিছু ঠিক চললে ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে বাংলাদেশ ঘুরে আসামের ডিব্রুগর পর্যন্ত পারি দেবে প্রমোদতরণী। প্রকল্পটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে এটিই হবে বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রা পথের বিলাসী ক্রুইজ।
ঢাকা-কলকাতা-বারাণসী, নদীবক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রমোদ তরী ভ্রমণের প্রকল্পটি আগামী বছরের শুরুর দিকেই আরম্ভের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। ভারতের অভ্যন্তরীন নৌপথ উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পটির চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে ভারতের সরকারের তরফ থেকে।
ভারতে জি-মিডিয়া প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ জানুয়ারি থেকে নিজের যাত্রা শুরু করবে এই প্রমোদতরণী। দীর্ঘ ৪,০০০ কিমি পথ, অতিক্রম করবে এই ক্রইজটি। এই গোটা যাত্রাটি সম্পূর্ণ করতে সময় লাগবে প্রায় ৫০ দিন। এই সফরে মাঝে আসামের ডিব্রুগরে পৌঁছনোর আগে এটি কলকাতা ও বাংলাদেশের ঢাকা শহরকে ছুঁয়ে যাবে বলেও জানা যাচ্ছে।
এই ৫০ দিনের সফরে প্রায় ২৭ টি নদী ব্যবহার করবে এই তরণী, যা বিশ্বের দীর্ঘতম নদী যাত্রা হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি ট্যুরিস্ট স্পট অতিক্রম করবে এই ক্রুইজটি। ভারতে নৌপরিবহন মন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এটি মূলত বিশ্বের এমন এক নৌযাত্রা হতে চলেছে যা একটি সফরেই ভারত-বাংলাদেশ দেখবে।
সরকারি-বেসরকারি যৌথ ব্যবস্থাপনা মডেলে উপরই ভিত্তি করে চালানো হবে বারাণসী-ডিব্রুগর প্রমোদতরণীটি। ভারত সরকারের তরফ থেকে দুই জনপ্রিয় ক্রুইস সংস্থা অন্তরা লাক্সারি রিভার ক্রুইজ এবং জে এম বক্সি রিভার ক্রইজের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে এই সফরের জন্য।
যদিও এই প্রমোদতরণীতে যাত্রার জন্য টিকিটের দাম কত হবে তা এখনও পর্যন্তও ধার্য করা হয়নি। মন্ত্রী সোনোয়ালের কথায়, এই বিলাসতরণীটি সমস্ত ধরনের পর্যটকদের নিজেদের মতো করে ঘোরার সমস্ত রকমের সুবিধা প্রদান করবে।
প্রমোদতরণীটি বারাণসী থেকে শুরু করে বক্সার, রামনগর এবং গাজিপুর হয়ে অষ্টম দিনে পাটনায় পৌঁছবে। ভারতে প্রবেশের আগে ক্রুজটি বাংলাদেশে প্রায় ১,১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের অধীনে এটি সম্ভব হবে, যা ইতিমধ্যেই গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে দুই দেশকে সংযোগকারী বাণিজ্যপথ খুলে দিয়েছে। সূত্র: জিনিউজ