এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত আবারো অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত। বিএনপিকে পরিষ্কার বলে দিতে চাই- কোনো ধরণের স'ন্ত্রা'সী কর্মকা'ণ্ড বরদাশত করা হবে না। দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। দেশের মানুষ কখনো বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব চায় না। ব্যর্থরাষ্ট্রে ফিরে যেতে চায় না। স'ন্ত্রা'স, জ'ঙ্গি'বাদের দেশ চায় না।
রবিবার সকালে ঝিনাইদহ পৌরসভাধীন ওয়াপদা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ভ'ণ্ড দল উল্লেখ করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যু'দ্ধের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে সাশ্রয় করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যত সংকট মোকাবেলায় এই প্রস্তুতি নিয়েছেন। আর বিএনপি এই সুযোগে অপতৎপরতা শুরু করেছে। ঢাকায় সন্ধ্যার পর লাইটপোস্টের নিচে হাতে হারিকেন নিয়ে বিদ্যুতের দাবিতে মিছিল করছে। এর চেয়ে বড় তামাশা আর কিছু হতে পারে না।
খালেদা জিয়া মানবতার মা নয়; বরং শ'ত্রু হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন এমন মন্তব্য করে হানিফ বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বলেন- খালেদা জিয়া নাকি গণতন্ত্র, মানবতার মা। যে খালেদা জিয়ার হাত ২৬ হাজার নেতা-কর্মীর র'ক্তে রঞ্জিত সে কী করে মানবতার মা হয়? খালেদা জিয়া খু'নির মা। হ'ত্যাকারী, খু'নি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা দুর্নীতির কথা বলেন। অথচ তাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কারণে সিঙ্গাপুরের আদালতে মামলা হয়েছিলো। ১০ বছর জেল হয়েছে। মার্কিন ফেডারেল কোর্টেও মামলা হয়েছে। আর খালেদা জিয়া এতিমের টাকার লোভ সামলাতে না পেরে আত্মসাৎ করেছিলেন। এই হচ্ছে বিএনপির নেতা। তারা নাকি আগামী দিনের ভবিষ্যত।
বিএনপি-জামায়াতের দিলের মধ্য থেকে এখনো পাকিস্তান প্রেম কমেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আপনাদের দিলের মধ্যে এখনো ‘পেয়ারে পাকিস্তান’। পাকিস্তান প্রীতি কমেনি। বিএনপি নেতাদের চিন্তা চেতনায় তা প্রকাশ পায়। টেক ব্যাক বাংলাদেশ নয়; গো ব্যাক টু পাকিস্তান। আপনারা পাকিস্তান চলে যান। আপনারা পাকিস্তান চলে গেলে দেশের মানুষ অখুশি হবে না, খুশি হবে।
ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও কর্ণফুলী টানেলের মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ম্যধ্যম আয়ের দেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক এই সময়ে উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে সবসময় তৎপর বিএনপি-জামায়াত আবার মাঠে নেমেছে- বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন ৪০ থেকে ৬০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলো। রফতানি আয়, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। শতকরা ৩০ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিলো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পোঁছে দিয়েছেন। এর সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে।
তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে দেশ ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছিলো। তারেক রহমান হাওয়া ভবন বানিয়ে কমিশন বাণজ্য করেছেন। তাকে কমিশন দেয়া ছাড়া কেউ কাজ করতে পারেনি। দেশকে অন্ধকারে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেই অন্ধকার থেকে দেশকে আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন শেখ হাসিনা।