বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৭:৫৩:৩৯

বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকেই কেন বেছে নিল, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকেই কেন বেছে নিল, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হ'ত্যার নীলনকশার দিন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি কি বুদ্ধিজীবী হ'ত্যাকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে চায়? ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হ'ত্যার মি'শ'ন শুরু হয়েছিল। 

১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজ উদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধ'রে নিয়ে যায়, যাদের পরবর্তীতে হ'ত্যা করা হয়। অর্থাৎ এই দিনে বুদ্ধিজীবী হ'ত্যার মি'শ'ন শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য বেছে নিল সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার দিন বিএনপির সমাবেশ কেন’ শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

ড. হাছান বলেন, “বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকে তাদের সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সাথে যুক্ত ছিল।  তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে ইসলামীর মূল নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল, তারা হচ্ছে তাদের জোটের প্রধান সহযোগী। কয় দিন আগে বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল’। যে দলের মহাসচিব এ কথা বলেন তাদের আসলে এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। ”

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে এত অনীহার কারণ তারা তো পাকিস্তানের দোসর। 

পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের জায়গার চি'হ্ন মু'ছে ফেলার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেখানে শিশু পার্ক বানিয়েছিলেন। সে জন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। অথচ সরকার তাদের সুবিধার্থে, তারা যাতে বেশি লোকসমাগম করতে পারে সে জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে। তাদের প্রস্তুতির জন্য ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ থেকে ৬ ডিসেম্বর এগিয়ে এনেছে। ’

তিনি বলেন, সারা দেশে বিএনপি মাঠে সমাবেশ করেছে আর ঢাকা শহরে আসার পর আর মাঠ ভালো লাগে না। তারা চায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে, যেখানে ৩০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি লোক ধরে না অর্থাৎ তাদের সমাবেশে মানুষ হবে না এটি একটি ভয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে রাস্তায় সমাবেশ করলে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, প্রয়োজনমতো অগ্নিসংযোগ করা যাবে, শহরে গণ্ডগোল করা যাবে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে।

ড. হাছান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকা শহরে অ'গ্নিস'ন্ত্রা'সীদের জড়ো করে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লাইসেন্স তাদেরকে দেওয়া হবে না। আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাদের কর্মীদেরকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের উ'সকা'নিমূলক বক্তব্যে আমাদের কর্মীদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর আমাদের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে। প্রয়োজনে আগে থেকে থাকবে। ’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে