সোমবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৫:৩৬:০২

মার্চেই বিএনপির কাউন্সিল

মার্চেই বিএনপির কাউন্সিল

ঢাকা : সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর পর দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করতে যাচ্ছে বিএনপি।  আগামী মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।  

কাউন্সিলের জন্য রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পেতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে অনুমতি চাইবে দলটি।  

আজ সোমবার বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপিকে চিঠি দেয়া হতে পারে।  ডিএমপির অনুমতি সাপেক্ষে কাউন্সিলের সুনির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারিত হবে।  

তবে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহকে ঘিরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বিএনপি। অসমাপ্ত জেলাগুলোর কমিটি গঠন, কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের তালিকা প্রস্তুতসহ অন্যান্য কার্যক্রমও চলছে। বিএনপির প্রবীণ নেতা তরিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

দলের চেয়ারপারসন নির্বাচনের জন্য সম্মেলনের আগেই গঠিত হবে নির্বাচন কমিশন।  কমিশনের প্রধান হিসেবে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট টি এইচ খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের নাম আলোচনায় এসেছে।  তবে এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কাউন্সিল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে বৈঠক।

বৈঠক সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে যেসব উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেগুলো বহাল রাখা হবে।  ওই কমিটির যেসব নেতা মারা গেছেন কিংবা দেশে নেই তাদের পবিবর্তে অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির পঞ্চম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।  ওই কাউন্সিলে দলটির গঠনতন্ত্রে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়। নির্বাহী কমিটির সদস্য ২৫১ থেকে বাড়িয়ে ৩৮৬ করা হয়।  

সৃষ্টি করা হয় ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ পদ।  তারেক রহমানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সৃষ্টি করা হয় পদটি।  গঠনতন্ত্র অনুসারে, চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে শুধু সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০০২ সালের ২২ জুন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব পদ দেয়া হয় তারেক রহমানকে।

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুসারে, প্রতি তিন বছর পর পর কাউন্সিল করার বিধান রয়েছে।  কিন্তু রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় শেষ পর্যন্ত আর কাউন্সিল করা সম্ভব হয়নি।
২৫ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে