শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩, ১১:৫৯:২৩

বায়ুদূষণের ভয়াবহতায় দেশে অকাল মৃত্যু ২০ শতাংশ বৃদ্ধি

বায়ুদূষণের ভয়াবহতায় দেশে অকাল মৃত্যু ২০ শতাংশ বৃদ্ধি

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বায়ুদূষণের ভয়াবহতা প্রকট আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের দশটি সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে ৯টি শহরই দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। এর মধ্যে ঢাকা অন্যতম।

বাংলাদেশে ২০ শতাংশ অকাল মৃত্যুর জন্য বায়ুদূষণ দায়ী। এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশ তাদের নীতিমালা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে এগিয়ে আসলে এসব অঞ্চলে বিশুদ্ধ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ‘এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ : এভিডেন্স অ্যান্ড প্রোগ্রেস ফর মাল্টি-সেক্টরাল অ্যাপ্রোচ, সল্যুশনস ফর ক্লিন এয়ার’ শীর্ষক আয়োজিত কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে উত্থাপিত এক রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়।

কর্মশালায় ‘স্ট্রাইভিং ফর ক্লিন এয়ার : সাউথ এশিয়া'স কোলাবোরেটিভ রেসপন্স’ শীর্ষক ওই রিপোর্টে বলা হয়, সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্র অঞ্চলে কিছু সূক্ষ্ম কণা, যেমন- কাচ এবং ছোট ধূলিকণার ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। 

ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি বছর আনুমানিক ২ মিলিয়ন মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটায়। এ ধরনের চরম বায়ুদূষণের সংস্পর্শে শিশুদের মধ্যে স্টান্টিং এবং হ্রাসকৃত জ্ঞানীয় বিকাশ থেকে শুরু করে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং দীর্ঘস্থায়ী ও দুর্বল রোগের প্রভাব রয়েছে। 

এতে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বৃদ্ধিসহ দেশের উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং কর্মঘণ্টা নষ্ট করে। এতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি প্রধান এয়ারশেড চিহ্নিত করা হয়েছে—যেখানে বাতাসের গুণমানে আত্মনির্ভরতা বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান, ইন্দো গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিস্তৃত একটি সাধারণ এয়ারশেড শেয়ার করে। 

প্রতিটি এয়ারশেডের কণা বিভিন্ন উৎস এবং অবস্থান থেকে আসে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা, কাঠমান্ডু এবং কলম্বোর মতো অনেক শহরে, শুধু এক-তৃতীয়াংশ বায়ুদূষণ শহরের মধ্যে উৎপন্ন হয়। বায়ুদূষণের আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতিকে স্বীকৃতি দিয়ে, চারটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তান প্রথমবারের মতো ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশে বায়ুর গুণমান উন্নত করার জন্য কাঠমান্ডু রোডম্যাপ তৈরি করতে একমত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার হাতেগোনা কয়েকটি দেশ বায়ুদূষণ রোধে নীতিমালা গ্রহণ করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ছাড়াও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বায়ুদূষণ রোধে কাজ করতে হবে। পাওয়ারপ্ল্যান্ট, বড় ফ্যাক্টরি এবং যানবাহনের মাধ্যমে হওয়া বায়ুদূষণ রোধে নীতিমালার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করলেও দূষণ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। 

এক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জন করতে হলে ছোট ছোট ফ্যাক্টরি, কৃষি, রান্নার ধোঁয়া এবং বর্জ্যের মাধ্যমে হওয়া দূষণও রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নিলে প্রতিবছর ৭৫ লাখ জীবন বাঁচানো সম্ভব।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে