এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গরমে বেড়েছে তরমুজের দাম। চার দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজের দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বর্তমানে বাজারে খুচরায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে তরমুজের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
ফলে দাম নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বরিশাল, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালীর তরমুজ দ্রুত সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু বাজারে চাহিদা কমেনি। এখন বাজারে তরমুজের চাহিদা থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল রোববার রাজশাহী নগরীর শালবাগানে আড়তগুলোতে পাইকারে অনুভব ও মধুমালা নামের তরমুজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে। এ ছাড়া বাংলালিংক তরমুজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪০ টাকা দরে। তবে বাংলালিংক তরমুজের স্বাদ কিছুটা কম। আর অনুভব ও মধুমালা তরমুজ খেতে তুলনামূলক মিষ্টি বেশি।
তাই দাম বেশি হলেও ক্রেতারা ঝুঁকছে এই তরমুজের দিকে। খুচরায় তরমুজ ক্রেতা সম্রাট করিম বলেন, গত শনিবার বাংলালিংক তরমুজ কিনে ছিলাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে। তরমুজ আকারে ছোট ছিল। বড়গুলো ৫৫ টাকা প্রতি কেজি চাচ্ছিল। পাশেই ছোট আকারের বাহানের (মাচায় ঝুলন্ত) তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে।
তরমুজের এতো দাম বেশি হলে মানুষ কিনে খাবে কীভাবে। ক্রেতা শফিক ইসলাম বলেন, এ বছর তরমুজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে গেল বলে মনে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে সব জায়গায় তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেল। কিন্তু এখন সেইভাবে চোখে পড়ছে না। যে দুই একজন ভ্রম্যমাণ ব্যবসায়ীকে চোখে পড়ছে, তারা দাম বেশি বলছে।
দাম বেশির কারণে অনেকেই তরমুজ বিক্রি করছেন না। সব জায়গায় তরমুজের দাম বেশি চাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ছোট আড়াই কেজি ওজনের একটা তরমুজ কিনেছি নগরীর ভদ্রা মোড় এলাকা থেকে ৮০ টাকা দরে।