শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৮:৩৫:১৬

বইটি হাতে পেয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী

বইটি হাতে পেয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা : ঢাকা : ইংরেজি, উর্দু ও জাপানি ভাষার পর এবার চীনা ভাষায় অনূদিত হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। এই বইটির মাধ্যমে মোট চারটি ভিনদেশী ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অনূদিত হলো।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই শি।

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে চাই শি বইটির অনুবাদ করেছেন।

বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর পরের বইটিতে থাকবে শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে তার (বঙ্গবন্ধু) চীন সফরের কথা।

এসময় প্রধানমন্ত্রী চীনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি চাই যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ সব অঞ্চলের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক হোক। যেটা আমাদের আরো উন্নত করবে।’

‘এই অঞ্চলের মানুষগুলো যেন দরিদ্রতা থেকে উঠে আসতে পারে। আরো উন্নত হতে পারে। সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তার জন্য আমাদের একটা সুন্দর সম্পর্ক দরকার’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি অনুবাদ করার অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে চাই শি বলেন, ‘বইটি অনুবাদ করে আমি একটি ভালো কাজ করেছি। এর আগেও বাংলাদেশে আমি এসেছি। আবার এই কয়েক বছর পর এসে দেখলাম বাংলাদেশের অনেক উন্নতি হয়েছে।’

এ সময় চীনা ভাষায় অনুবাদ হওয়া বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি বিক্রি করে যা আয় হবে তার সবটুকু অনুদান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে দেওয়া হবে বলেও চাই শি জানান।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরের সময় আমাকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী চীনা ভাষায় অনুবাদের প্রস্তাব দেন। আমি তখনই বলেছি, অবশ্যই আমি এটা করবো। এটা করতে পারলে নিজেকে সম্মানিত মনে করবো।

বাংলাদেশকে নিজের ‘সেকেন্ড হোম’ হিসেবে মন্তব্য করে অনুবাদক বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রেমে পড়ে গেছি। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশে আসেন বলেও জানান চাই শি।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সহজ কথা নয়।

তিনি বলেন, কয়েক বছর পর বাংলাদেশে এসে দেখলাম, অনেক উন্নয়ন হয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে চাই শি বলেন, আপনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০২১ সালে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালে উন্নত আয়ের দেশ হওয়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ তার অর্জন সম্ভব। বাংলাদেশ তার ভবিষ্যত পরিবর্তন দেখবে।

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি কবিতা ‍আবৃত্তি করেন।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, এ জাতিকে আলোকের পথে, উন্নয়নের পথে এনেছেন বঙ্গবন্ধু।

অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বইটি যিনি পড়বেন তিনিই অভিভূত হবেন।সব মিলেই বাবার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি হাতে পেয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণের জন্য আবেগ প্রবণ হয়ে যান।
২৯ জানুয়ারি ২০১৬ এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে