বুধবার, ০৭ জুন, ২০২৩, ০৯:১৬:৫৬

আগামীকাল রাজধানী আর মঙ্গলবার সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস

আগামীকাল রাজধানী আর মঙ্গলবার সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দেশে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান তাপপ্রবাহ আরো কিছু দিন স্থায়ী হতে পারে। আগামী ১১-১২ জুনের আগে সারা দেশে একযোগে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এরপর দেশজুড়ে বৃষ্টি হলে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ কমে আসতে পারে। এদিকে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা বিভাগের বাকি ৯ জেলা, রংপুরের বাকি ছয় জেলা, রাজশাহীর বাকি সাত জেলা, ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা, ময়মনসিংহের চার জেলা, সিলেটের চার জেলা, বরিশালের ছয় জেলা এবং চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ সময় বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুরে, ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের মাত্র চারটিতে বৃষ্টির খবর মিলেছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বান্দরবানে, ১২ মিলিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সারা দেশে একযোগে বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ ও গরমের এই অসহনীয় অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে।

১১-১২ জুনের পর সারা দেশেই কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তখন ধীরে ধীরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাপপ্রবাহ কমে আসতে পারে।’

তাপপ্রবাহের বিশেষ সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ৯-১০ জুন পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

২০১৫ সালের পর থেকে বিগত বছরগুলোতে বর্ষা শুরু হতে একটু বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি জানান, গত বছর দেশে জুনের ২৩ তারিখে বর্ষা শুরু হয়। এর আগের বছর শুরু হয় ১৭ জুন। এ বছরও বর্ষা বিলম্বিত হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, বৃষ্টি কম হওয়াটাও তাপমাত্রা বাড়ার কারণ। গত এপ্রিলে বাংলাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৬ শতাংশ, মে মাসে ৪৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এই সময় গরম বেশি অনুভূত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য। আবহাওয়াবিদরা জানান, এই সময়ে মৌসুমি বায়ু আসার প্রাক্কালে দেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বেশি থাকে। এপ্রিলে ৪২ ডিগ্রির মতো তাপমাত্রাও উঠেছে। তখন বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় এখনকার মতো এতটা গরম অনুভূত হয়নি। এপ্রিলের তুলনায় এখন বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে