শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩, ১১:৪১:৩০

এখনও আঁখির জ্ঞান ফেরেনি, শরীর সম্পূর্ণ কালো হয়ে গেছে

এখনও আঁখির জ্ঞান ফেরেনি, শরীর সম্পূর্ণ কালো হয়ে গেছে

এমটিনিউজ ডেস্ক : চিকিৎসক অধ্যাপক সংযুক্তা সাহার ভিডিও পরামর্শ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নরমাল ডেলিভারির আশায় ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হন মাহবুবা রহমান আঁখি নামে এক প্রসূতি। এর পরই আঁখির জীবনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। জন্মের সময়ই মারা যায় নবজাতক আর আঁখি এখন মৃত্যুশয্যায়।

শনিবার (১৭ জুন) আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী বলেন, এখনও জ্ঞান ফেরেনি। শরীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। শরীর সম্পূর্ণ কালো হয়ে গেছে। ফোসকা পড়ে গেছে সারা শরীরে। তিনি আরও বলেন, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে। ডায়ালাইসিসে কোনো কাজ হচ্ছে না।

প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় আঁখিকে। কিন্তু ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে ওই নারীর ডেলিভারি করতে যান ডা. মিলি।

এ সময় ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করা হয়। এতে বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন ইয়াকুব আলী।

মামলার আসামিরা হলেন- সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মুনা সাহা (২৮), ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা (৩৮), অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার সহকারী মো. জমির, ডা. এহসান, ডা. মিলি ও সেন্ট্রাল হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজসহ আরও অজ্ঞাত ৫-৬ জন।

এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুন) এজাহারনামীয় দুই আসামি ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আদালতে তুললে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।-আরটিভি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে